বিশেষ সংবাদদাতা, গল (শ্রীলংকা) থেকে : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই জানানোর আগেই রাজনীতির মঞ্চে নেমে পড়েছিলেন জয়সুরিয়া। ২০১০ সালে শ্রীলংকার জাতীয় নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স (ইউএফএ)-এর মনোনয়নে মাতারা জেলা আসনে নির্বাচন করে ৭৪ হাজার ৩৫২ ভোট পেয়ে হয়েছিলেন নির্বাচিত। সেটাই সেই নির্বাচনে সর্বাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে রাজাপাকসের মন্ত্রীসভায় পোস্টাল সার্ভিসের (ডাক বিভাগের) উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। সেই পরিচয় নিয়েই ওয়ানডে এবং টি-২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ১ বছর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়েছেন ২ দফায়। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাও আছে রাজাপাকসের খুব কাছের লোক হিসেবে পরিচিত জয়সুরিয়ার। ২০১৫  সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নেননি অংশ। রাজনীতির মঞ্চে এখন আর সিরিয়াস নন জয়সুরিয়া। রাজনীতির কথা বলতেই যেনো পাশ কাটাতে চাইলেন জয়সুরিয়াÑ‘আমি এটা একপাশে রেখে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলছি।’
২০০৮ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন ৩৯তম জন্মদিনে! জন্মদিনে ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির রেকর্ড জয়সুরিয়াকে নিয়ে আছে তিনজনের। যে রেকর্ডে আছেন ভারতের বিনোদ কাম্বলি এবং শচীন, নিউজিল্যান্ডের রস টেলর। রমেশ কালুভিতারানা, রনজিৎ মাধুরাসিংহে এবং এরিক উপশান্থার সঙ্গে নির্বাচক কমিটিতে নেতৃত্ব দেয়া জয়সুরিয়ার ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে খেলার অতীতও আছে। খেলেছেন মোহামেডানে। ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার বিশ্বসুন্দরী নির্বাচনে বিচারক প্যানেলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তার রায়েই ঐশ্বরিয়ার মাথায় উঠেছে বিশ্বসুন্দরীর মুকুটÑগুরুত্বপূর্ণ ওই রায়ের পরদিনই মোহামেডানের হয়ে ঢাকায় খেলতে এসেছিলেন দামার সামার ক্রিকেটের সেমিফাইনাল। সে সময়ের সেনসেশন জয়সুরিয়ার ব্যাট জ্বলে ওঠেনি ওই ম্যাচে। অগ্রণী ব্যাংকের আপসেটের শিকার হয়েছে মোহামেডান। এর পরও ২ বার এসেছেন মোহামেডানে খেলতে। মোহামেডানের আতিথেয়তা এখনো ভুলতে পারেননি। শ্রীলংকা থেকে মোহামেডানে তাকে লোভনীয় অফারে উড়িয়ে নিয়েছেন যিনি, সেই মাহাবুব আনামের নামটিও কৃতজ্ঞচিত্তে করেছেন স্মরণ জয়সুরিয়াÑ‘আমার ক্লাব মোহামেডান। ক্লাবটিতে খেলে আমি অনেক উপভোগ করেছি। ক্লাবটি আমার প্রতি যথেষ্ট খেয়াল রেখেছে। মাহাবুব (মোহামেডান ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান এবং বিসিবি’র সহ-সভাপতি) আমার যে খেয়াল করেছেন, তাতে আমি ভীষণ খুশি।’