নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিনে প্রিয় ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) ভালবাসার আরো দৃঢ় বন্ধনে বেঁধেছিল ভক্তরা। সেদিন যে ক্লাবটির খেলোয়াড়রা উপহার দিয়েছিল সম্ভবত তাদের ইতিহাসের সেরা জয়। প্যারিসবাসীর আনন্দে সেদিন চাপা পড়েছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা দল বার্সেলোনার ৪-০ গোলে হারের দুঃসহ বেদনা। কিন্তু কয়েক দিনের ব্যবধানে সেই ঠিক উল্টো অভিজ্ঞতা নিতে হল পিএসজি খেলোয়াড়দের। বার্সেলোনা থেকে দেশে ফিরে বিমান থেকে নামার পরই তাদের পড়তে হয় ভক্তদের তোপের মুখে। এ নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে।
ক্লাবটির অভিযোগ, উগ্র ভক্তরা খেলোয়াড়দের অপমান করেছে ও তাদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে যা ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘বুর্গেট বিমান বন্দরে ক্লাব ও নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী থাকা সত্ত্বেও খেলোয়াড়রা বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকবার হুমকির মুখোমুখি হয়েছিল। এই অপমানজনক ঘটনা ঘটে খেলোয়াড়রা গাড়িতে ওঠার সময়। কিছু গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।’
তো কি ঘটেছিল সেদিন বার্সেলোনায় যে তাদের আক্রমণের শিকার হতে হল? ন্যু ক্যাম্পে সেদিন উঠেছিল ৭ মিনিটের এক ঝড়। যে ঝড়ের নাম ‘নেইমার’। ৮৭ মিনিট পর্যন্তও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল একপ্রকার নিশ্চিত ছিল পিএসজির। প্রথম লেগে ৪ গোলের পার নিজেদের মাঠে আরো এক গোল খাওয়ায় ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকার পরও বার্সেলোনাকে তখন করতে হত আরো তিন গোল, কোনো গোল হজম না করেই। ব্রাজিলিয়ান তারকার বেসামাল ঝড়ে এরপর ছিন্নভিন্ন হতে থাকে পিএসজির রক্ষণ। দুই গোল নিজে করেন ও একটি সার্জিও রবার্তোকে দিয়ে করিয়ে সেই ম্যাচ ৬-১ গোলে জিতে নতুন এক অধ্যায়ের জন্ম দেয় কাতালান দলটি। প্রথম লেগের চার গোলের ঘাটতি পূরণ করে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করার এই ঘটনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ইতিহাসে যা এই প্রথম। অর্থাৎ কোনো দলের শ্রেষ্ঠতম ঘুরে দাঁড়ানোর ঘটনা এটি। অনেকে এটাকে ‘অলৌকিক’ বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন। আর মহানায়ক নেইমারের কাছে এটি ছিল তার জীবনের সেরা ম্যাচ।
এদিকে বার্সেলোনার এমন প্রত্যাবর্তন আসরে অন্য দলগুলোর জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। জুভেন্টাস কোচের অভিমত, আসরে বার্সা টিকে থাকায় শিরোপার লড়াই আরো জমে উঠবে। অ্যালেগ্রি বলেন, ‘পিএসজির প্রতি যথাযত সম্মান রেখেই বলছি, বার্সেলোনাকে কোয়ার্টার ফাইনালে পাওয়াটা আনন্দদায়ক কিছু নয়।’ ইতালিয়ান কোচ বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদের সাথে বার্সেলোনাও এখন ফেভারিট।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ফুটবল বিশ্বে এটি ছিল সুন্দর একটি সন্ধ্যা যা, ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।’ বার্সার সাবেক স্ট্রাইকার ডেভিড ভিয়া বলেন, ‘ইতিহাস গড়ে এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোটা বার্সাকে ফুটবল ইতিহাসের অন্যমত সেরা দল হিসেবে ঘোষণা করে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।