Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্পের নতুন আদেশকেও চ্যালেঞ্জ করে কয়েকটি রাজ্যে মামলা

| প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ছয়টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দ্বিতীয় দফায় যে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেটি আরো বেশি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। নতুন ওই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে হাওয়াইয়ে মামলা করার একদিন পরই ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস ও ওরেগন রাজ্যে মামলা দায়ের করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম দফায় নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে যে আইনি লড়াই চলেছিল তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিল ওয়াশিংটন এবং ওই মামলায় জয়ও পেয়েছিল তারা। একজন ফেডারেল জজের নির্দেশে ওই নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যায়। আর এখন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফায় নির্বাহী আদেশ কতটা যুক্তিসম্পন্ন তাও চ্যালেঞ্জ করছে ওয়াশিংটন। প্রদেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল বব ফার্গুসন বিচারকের প্রতি আহŸান জানিয়েছে এই আদেশটিও যেন স্থগিত করা হয়, ফার্গুসনের মতে এটিও সংবিধানপরিপন্থী নির্বাহী আদেশ। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের যুক্তি হচ্ছেÑ যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে নিরাপদ রাখার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। আর অনেক মার্কিন নাগরিকও ট্রাম্পের এই আদেশের পক্ষে নিজেদের মতামত দিয়েছেন। একজন যেমন বলছেন- দেশের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো করা প্রয়োজন, আর প্রত্যেকের নিরাপত্তার জন্যই এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আরেক নাগরিক মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বলেন-মধ্যপ্রাচ্যে গত প্রায় চার/পাঁচ বছর ধরে যে পরিস্থিতি চলছে তার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। যে ধরনের ব্যবস্থা আগে কখনো নেয়া হয়নি। আর নিরাপত্তার কারণে ট্রাম্পের এই নতুন নিষেধাজ্ঞা সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন এই ব্যক্তি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম নির্বাহী আদেশে সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, দ্বিতীয় দফার আদেশ ইরাককে বাদ দেয়া হয়েছে। বাকি ছয়টি দেশ হলো ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া এবং সোমলিয়া। এছাড়া নতুন আদেশে বলা হচ্ছে সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী কর্মসূচি বন্ধ রাখা হবে। নতুন আদেশে শরণার্থীদের ক্ষেত্রে ১২০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এই নতুন নিষেধাজ্ঞাও আইনি বাধার মুখে পড়েছে। প্রথমেই নতুন আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হাওয়াই অঙ্গরাজ্য। এরপর নিউ ইয়র্ক এই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করে বলেছে এটি আসলে মুসলিমদের ওপরেই নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে ওয়াশিংটন বলছে- এ ধরনের আদেশ রাজ্যের জন্য ক্ষতিকর। এরপর ম্যাসাচুসেটস, মিনেসোটা ও ওরেগন অঙ্গরাজ্যও নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা করে এটি স্থগিত করার আহŸান জানিয়েছে। ট্রাম্পের জারি করা নতুন এই আদেশটি আগামী ১৬ মার্চ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এক আবেদনে হাওয়াইয়ের অ্যাটর্নি জেনারেল ডগলাস চিন সংবিধান পরিপন্থী উল্লেখ করে এ নিষেধাজ্ঞার ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ চান। গত বুধবার হাওয়াই ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক ড্যারিক ওয়াটসন এ বিষয়ে শুনানির নির্দেশ দেন। এক বিবৃতিতে ডগলাস বলেন, এ নিষেধাজ্ঞার ফলে হাওয়াইসহ পুরো যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী হাজারো মানুষ তাদের স্বজনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। তাদের স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে পারবেন না। এটা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান পরিপন্থী। গত ৬ মার্চ এক নির্বাহী আদেশ নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ট্রাম্প। এতে বলা হয়, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের যেসব নাগরিকদের বৈধ ভিসা নেই, তারা আগামী ৯০ দিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। সেই হিসেবে আগের তালিকা থেকে বাদ পড়ে ইরাক। বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ