Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের বিশ হাজার মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে চীনের পথে

| প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : জাতিগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ২০ হাজার মানুষ। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে। চীন সীমান্তে জাতিগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত হওয়ার ৩ দিনের মাথায় তাদের দেশ ছাড়ার খবর পাওয়া গেল। বিবিসি জানিয়েছে, ঘরহারা মানুষ চীন সীমান্তে প্রবেশ করে মানবিক সহায়তা নেয়ার চেষ্টা করছে। চীন বলছে, আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে তারা মানবিক। শান্তি প্রক্রিয়ায় নিজেদের অঙ্গীকার জানিয়ে মিয়ানমারের সব পক্ষকে নিরপেক্ষ অবস্থানে আসার তাড়না দিয়েছে বেইজিং। সোমবার সীমান্তবর্তী কোকাংয়ের লৌকাই শহরে জাতিগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিদ্রোহীরা পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় হামলা চালায়। এই সংঘর্ষে পাঁচ বেসামরিক, পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা ও ২০ জন বিদ্রোহী সেনা নিহত হন। ওই দিনের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকেই জাতিগত সংখ্যালঘুদের ঘর ছাড়ার খবর পওয়া যায়। সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি ওইদিন জানায়, অন্ধকার হতে থাকলে সংঘর্ষের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এলাকাবাসীরা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের প্রকৃত সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রলালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ২০ হাজার মানুষ সীমান্তে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মানবিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া ভিডিওতে সোমবার থেকেই বেসামরিক মানুষকে মিয়ানমার ছ্ড়াতে দেখা যায়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রলালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং বলেন, ‘যুদ্ধ ও সহিংসতা এড়াতে যারা পালিয়ে এসেছে তাদেরকে মানবিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।‘ চীন সবসময়ই শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে বলেও জানান তিনি। জেং শুয়াং বলেন, মিয়ানমারের সব পক্ষকেই একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে আসতে হবে। দেশটির শান্তি ফিরিয়ে আনতে এটা খুবই প্রয়োজন। মিয়ানমারের শান রাজ্যে বিদ্রোহী সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীগুলো তৎপর।সূত্র: রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ