নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, গল (শ্রীলঙ্কা) থেকে : ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ওপেনিং পার্টনারশিপে ৩১২ রানের রেকর্ডে প্রধান অংশীদার তামীম। তবে ২০১৫ সালে খুলনা টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ সেই রেকর্ডটি ছিল তৃতীয় ইনিংসে। টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি অধিকাংশ ম্যাচেই বাড়িয়েছে হতাশা। নতুন বলে ওপেনিং জুটির ব্যর্থতার গল্প কম নয়। গল টেস্টের আগে ওপেনিং জুটিতে ১০০ পেরুতে পেরেছে বাংলাদেশ মাত্র ২ বার। ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তামীম-ইমরুলের ২২৪ রানের পাশে ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে ১১৮। ওপেনিং পার্টনারশিপে সেঞ্চুরির সংখ্যাটি গল টেস্টে এসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন এ। তামীম-সৌম্য’র পার্টনারশিপে এসেছে ১১৮ রান। যেভাবে খেলছিলেন এই দুই বাঁ হাতি ওপেনার, তাতে প্রত্যাশা ছিল নির্বিঘেœ দ্বিতীয় দিন পার। আর মাত্র ১০ ওভার কাটাতে পারলেই জুটিটি অবিচ্ছিন্ন থেকে পারতো দিন শেষ করতে। তবে ২৮ রানে বেঁচে যাওয়া তামীম ২১তম ফিফটি উদযাপনেই হারালেন মনোসংযোগ।
বাঁ হাতি স্পিনার সান্দাকানের ডাউন দ্য লেগ পিচিং ডেলিভারিতে উইকেট কিপার ডিকভেলা কট বিহাইন্ডের আপীল করেছেন, ওই আপীলটাই বিগড়ে দিয়েছে তামীমকে। শ্রীলংকা উইকেট কিপারের গ্লাভসে বল দেখে নন স্ট্রাইক ব্যাটসম্যান সৌম্য পর্যন্ত দেননি কল, অথচ তামীম অকারণে রান নিতে যেয়ে পড়েছেন রান আউটে কাঁটা (৫৭)। তামীমের এমন আত্মাহুতী দেখে হতাশ কোচ হাতুরুসিংহেওÑ ‘সে এখনো বিষয়টি নিয়ে আমাকে কিছু বলেনি। হতে পারে এটা মতিভ্রম। সেটাই ঘটেছে। ওই সময়ে সমুদ্রে ভালই এগুচ্ছিলাম, কিন্তু ওই আউটে হতাশ হতে হলো। তারা দু’জন দারুণ ব্যাট করছিল। তার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ দেখে আমি ভীষণ খুশি ছিলাম। ধারণা করছি, সে হয়ত বা ধরে নিয়েছিল বলটি উইকেট কিপারকে ছাড়িয়ে চলে গেছে। মতিভ্রম হওয়ায় এমন কিছু হতে পারে।’
তামীমের বিপক্ষে নাকি এক সঙ্গে ক্যাচ এবং এলবিডাব্লুর আপীল করেছেন, সেই আপীলে তামীমের মনোসংযোগ হারাতে পেরে দারুণ খুশি শ্রীলংকা উইকেট কিপার ডিকভেলাÑ ‘দুই ব্যাটসম্যানই ফিফটি পূর্ণ করে ফেলেছে। তাই ওই উইকেটটি আমাদের জন্য ছিল ক্রুশিয়াল। বলটি তামীমের প্যাড ছুঁইয়ে গেছে। সে ধরে নিয়েছে আমার পাশ দিয়ে বুঝি বলটি চলে গেছে। তাই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে বেলস ফেলে দেই। আমাদের প্রথম আপিলটি ছিল এক সঙ্গে ক্যাচ এবং এলবিডাব্লূÑদু’টোই।
‘ ০’ তে কাকতালীয়ভাবে বেঁচে নিজেকে বড়ই ভাগ্যবান মনে করেছেন কুশল মেন্ডিজ। আবার ১৯৪এ ফিরে ভাগ্যাহতও ভাবতে পারেন কুশল মেন্ডিজ। ১৯০’র ঘরে এসে ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার রেকর্ডে আছেন শ্রীলংকা ক্রিকেটারদের মধ্যে যে ক’জনÑ সেই তালিকায় জয়সুরিয়া, সাঙ্গাকারা, মাহেলা, দিলশান, ওয়েটিমুনি’র পাশে যুক্ত হয়েছেন কুশল মেন্ডিজ। ২০১২ সালে এই গল এ ১৯৯ এ নট আউট থাকার কষ্ট এখনো হয়ত ভুলতে পারেননি সাঙ্গাকারা। ডাবল হাতছাড়া করায় কষ্টে অভিযোগ করতে পারেন তিনি টেল এন্ডার নুয়ান প্রদীপকেÑ কারণ, পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ইনিংসে শেষ ব্যাটসম্যান যে সাপোর্ট দিতে পারেননি! ১৯৯৭ সালে সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৯ রানে জয়সুরিয়ার আউট হওয়ার কষ্টটা আরো বড়। একই ভেন্যুতে ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহেলা জয়বর্ধনের চোখ ছিল একসঙ্গে দ্রুত ডাবল সেঞ্চুরি এবং ইনিংস ঘোষণার। তাতেই অধিনায়ক জয়বর্ধনের মনোসংযোগে ঘটেছে বিঘœ। ফিরে গেছেন ১৯৫এ! ডাবলের কক্ষপথে থেকে ২ বার তা হাতছাড়া করার কষ্ট আছে সাঙ্গাকারারÑ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৭ সালে হোবার্টে এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১২ সালে ১৯২ রানে ফিরে আসায় টেস্ট ক্যারিয়ারে ১১টি ডাবলেই থমকে যেতে হয়েছে শ্রীলংকার এই লিজেন্ডারীকে। ১৯০’র ঘরে এসে হতাশ হতে হয়েছে দিলশানকে (২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৩) এবং ১৯৮৪ সালে লর্ডসে ওয়েটিমুনিকে (১৯০)। ডাবল হাতছাড়া হওয়া শ্রীলংকান ক্রিকেটারদের এই তালিকায় নুতন সংযোজন কুশল মেন্ডিজ (১৯৪)।
তবে ডাবল মিস করলেও কুশল মেন্ডিজের ব্যাটিং মনে ধরেছে বাংলাদেশের শ্রীলংকান কোচ হাতুরুসিংহেরÑ ‘এই বয়সে তাকে খুব পরিণত মনে হয়েছে। যে ইনিংসটি সে খেলেছে, তা পরিণত। সুযোগ পাওয়ার পর সে আর আমাদেরকে সুযোগ দেয়নি। যেভাবে সে আগ্রাসী ব্যাটিং করেছে, তাতে এই বয়সে তাকে অনেক বেশি পরিণতই মনে হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।