Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খোলস পাল্টাতে শুরু করেছেন ট্রাম্প

| প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে গুটিয়ে আনার চিন্তা-ভাবনা করছেন বলে পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছিলেন। কিন্তু না, ক্ষমতা গ্রহণের দেড় মাসের মধ্যেই খোলস পাল্টাতে শুরু করেছেন তিনি। অন্তত তেমনটাই মনে করেন কেমব্রিজের ইতিহাসবিদ স্টিফেন ওয়েরথেইম। এই বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছেন, ট্রাম্প আসলে বিচ্ছিন্নতাবাদী নন। বরং তিনি একজন যুদ্ধবাদী বা আরো খারাপ কিছু। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেড় মাসের শাসনামল নিয়ে পর্যবেক্ষক মহলের একটি সাধারণ বিশ্বাস ছিলÑ ব্যবসা ছেড়ে রাজনীতিতে আসা এই নেতা বুঝি মুক্তবাণিজ্য ও সামরিক মৈত্রীর বিরোধী। অর্থাৎ তিনি একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। বিশেষ করে, টিটিপি এবং ন্যাটো ইস্যুতে তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ইতিহাসবিদ ওয়েরথেইম বলেন, বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পরিবর্তে শত্রæতা বাড়ানোর এবং সামরিক বিজয়ের কথাই বলছেন ট্রাম্প। তার মতে, ১০০ বছর আগে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এমন বাস্তবতা বহাল ছিল, যখন কট্টর জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলো সমরাস্ত্র প্রতিযোগিতা ও সংঘর্ষে জড়িত হওয়াকেই সাফল্য বলে মনে করত। আর সেই ধারাবাহিকতায় ট্রাম্পের যুদ্ধংদেহী মনোভাবকে অনেকে সেই যুগেরই প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখতে পাচ্ছেন। সেই যুগের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল, মুক্তবাণিজ্যের পথ বন্ধ এবং সাম্রাজ্যের পতন। ওয়েরথেইম আরো বলেন, ট্রাম্পের বিদ্রূপাত্মক বক্তব্যের কারণে বিশ্ব আমাদের নিয়ে উপহাস করছে। জাপান সা¤্রাজ্য বা নাৎসি জার্মানরা কিন্তু নিজেদের মানচিত্র বাড়ানোর জন্য যুদ্ধে নামেনি। বরং তাদের নেতারা নিজেদের ক্ষমতা ও পদমর্যাদা হুমকির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে, এমন ধোয়া তুলেই যুদ্ধে নেমেছিলেন। ট্রাম্পও অনেকটা তাই।
গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনেই এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২টি দেশের অংশীদারিত্বের চুক্তি ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়ে আসেন ট্রাম্প। অন্যদিকে, নির্বাচনের আগে থেকেই পশ্চিমা সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনকে (ন্যাটো) সেকেলে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এমনকি, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো সংস্থাটিতে ব্যয় না বাড়ালে যুক্তরাষ্ট্রকে ওই দেশগুলোর নিরাপত্তা থেকে বের করে নিয়ে আসারও হুমকি দেন। এসব ঘটনা বিশ্লেষণ করে পর্যবেক্ষকরা উপর্যুক্ত মন্তব্য করেছিলেন। অবশ্য, গত নভেম্বরের নির্বাচনের আগেও ট্রাম্পের যুদ্ধংদেহী আচরণ প্রকাশ পেয়েছিল। এক জনসভায় তিনি ঘোষণা করেছিলেন, নির্বাচনে জয়লাভ করলে তিনি হবেন সেনাবাহিনীর প্রেসিডেন্ট। তাছাড়া, তিনি বারবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন মিত্রশক্তির প্রধান সেনাপতি ও জাপানস্থ মার্কিন হেড কোয়ার্টারের (জিএসকিউ) প্রশাসক জেনারেল ডগলাস ম্যাক আর্থার এবং ওই বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন কমান্ডার জর্জ প্যাটোনের নাম বারবার উল্লেখ করেন। এখানেই শেষ নয়। ট্রাম্পের নির্বাচনী ¯েøøাগান মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন বাস্তবায়নে সামরিক বাজেট বৃদ্ধিরও ইঙ্গিত ছিল তখন থেকেই। ওয়াশিংটন পোস্ট।



 

Show all comments
  • Habibur Rahman ৯ মার্চ, ২০১৭, ৩:০৩ এএম says : 0
    thik takey hote e hobe
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ