নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বিশ্ব হকি লিগের দ্বিতীয় পর্বে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ‘এ’ পুলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লাল-সবুজরা সহজ ব্যবধানেই হারিয়েছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ফিজিকে। গতকাল বিকালে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ৫-১ গোলের জয় তুলে নেয়। বিজয়ীদের পক্ষে পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ মামুনুর রহমান চয়ন ও অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি দু’টি করে এবং আশরাফুল ইসলাম একটি গোল করেন। ফিজির হেক্টর জুনিয়র এক গোল শোধ দেন।
সহজ জয় পেলেও আরও বড় ব্যবধানে জেতা উচিত ছিল স্বাগতিকদের। ওমান যেখানে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৭-০ গোলে হারায় ফিজিকে, সেখানে বাংলাদেশের জয় ৫-১ গোলের। পুরো ম্যাচে ১৩টি পেনাল্টি কর্নার (পিসি) পেয়ে মাত্র তিনটি কাজে লাগিয়েছে জিমি বাহিনী। ফিজি গোলরক্ষক রিচার্ড আইর দারুণ খেলে দলকে বেশ ক’টি গোলের হাত থেকে রক্ষা করলেও ম্যাচে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের ফিনিশিং ভালো ছিল না। তাই গোল পেতে অপেক্ষায় থাকতে হয় স্বাগতিকদের। আর এ কারণে ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টার কাটে গোলশূন্য অবস্থায়। ৬০ মিনিটের চার কোয়ার্টারের প্রথমটিতে গোলের জন্য মরিয়া হয়েই লড়তে দেখা গেছে জিমি বাহিনীকে। শুরু থেকেই তারা প্রতিপক্ষের রক্ষণদুর্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৫ মিনিটে জিমি, সারোয়ার, চয়ন কম্বিনেশনে পাওয়া পিসি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। চয়নের হিট বাইরে চলে যায়। ৮ মিনিটে দ্বিতীয় পিসিতে কৃষ্ণা-রানা-চয়ন কম্বিনেশন। এবার ড্র্যাগ ভালো হলেও প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষক রিচার্ড আইর বল রুখে দেন। ১০ মিনিটে তৃতীয় পিসি আশরাফুল মারলেও বলের ঠিকানা হয় বাইরে। ১৪ মিনিটে চতুর্থ পিসিও জিমি- সারোয়ার-আশরাফুল কম্বিনেশনে ব্যর্থ। চারটি পিসি পেয়েও যেখানে গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ, সেখানে ফিজি ৭ ও ১৩ মিনিটে দু’টি আক্রমণ চালায়। প্রথমটিতে জেমস সাকাকালার হিট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জাহিদ। দ্বিতীয়টিতে অ্যাড্রিয়ান স্মিথ বল মারেন অসীমের প্যাডে। প্রথম কোয়ার্টার গোলশূণ্য কাটলে দ্বিতীয় কোয়ার্টারের ১১ মিনিটে অর্থাৎ ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম গোল পায় বাংলাদেশ। সপ্তম পিসি থেকে কৃষ্ণা-সারোয়ার-চয়নের কম্বিনেশনে গোল (১-০)। মাত্র ৬ মিনিট পরই ম্যাচে সমতায় আনে ফিজি। বাংলাদেশের ১৩ পিসির বিপরীতে একটি মাত্র পিসি পায় তারা। সেটিকেই শতভাগ কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নেয় তারা। মার্টিন- আদ্রিয়ান- হেক্টর কম্বিনেশনে সমতা (১-১)। সাতটি গোলের সুযোগ নস্ট করে ৩৭ মিনিটে নিজের প্রতি বিশ্বাস ফিরে পান রাসেল মাহমুদ জিমি। মাঝমাঠ থেকে কামরুজ্জামানের সাথে সুন্দর আদান প্রদানে প্লেসিং পুশে গোল (২-১)। ৪১ মিনিটে আবারো রোমানের কাছ থেকে বল পেয়ে ঠা-া মাথায় ফিজির জালে বল জড়ান জিমি (৩-১)। শেষ কোয়ার্টারে উপর্যুপরি আঘাত হানেন ফিজি শিবিরে। দশম পিসি থেকে গোল আদায় করে নেন চয়ন (৪-১)। আরো দু’টি মিসের পর ১৩তম পিসি থেকে গোল করেন আশরাফুল (৫-১)।
একই ভেন্যুতে দিনের প্রথম ম্যাচে ঘানা ৫-৪ গোলে হারায় শ্রীলংকাকে। দ্বিতীয় ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মিসর সাডেন ডেথে ৫-৪ গোলে হারায় শক্তিশালী চীনকে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র ছিল। তৃতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়া ৬-১ গোলের সহজ জয় পায় ওমানের বিপক্ষে। ফলে ‘এ’ পুল থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের পথে এক পা এগিয়ে গেল তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।