Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পিএসজিকে মেসির বার্তা

| প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ক্যাম্প ন্যু’র গত পরশু রাতটা ছিল ‘লিওনেল মেসি’ আলোয় উজ্জ্বল। বিশ্বসেরা তারকার এমন আলোক ঝলমল দিনে প্রতিপক্ষের কি হাল হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। জাদুকরী দুটি গোল করলেন, সতীর্থদের দিয়েও করালেন তিনটি, সেল্টা ভিগোও উড়ে গেল ৫-০ গোলে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের বিপক্ষে বুধবারের বাঁচা-মরার ম্যাচে একই মাঠে একই ব্যবধানে জিততে হবে বার্সেলোনাকে। পোষাকী মহড়ায় সেই বার্তাই যেন দিয়ে রাখলেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা।
বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার পর লুইস এনরিকের প্রথম ম্যাচ ছিল এটি। শেষ বেলায় যেন দেখিয়ে দিতে চাইলেন তার দলের সক্ষমতা। শিষ্যদের দিলেন স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ। মাঝমাঠ সামলে সেল্টার ডি বক্সে ত্রাস ছড়ালেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। আর তাতে পুড়ে ছারখার হল সেল্টা। প্রথম থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে কাতালানরা। তেমনি এক আক্রমণে ২০তম মিনিটে বারপোস্টে কাঁপুনি ধরান সুয়ারে-মেসি। প্রথমে সুয়ারেজের জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, ফিরতি বল কোনাকুনি শটে আবারো বারে লাগান মেসি।
তবে পাঁচ বারের বর্ষসেরা স্বাগতিক ভক্তদের অপেক্ষার অবসান ঘটান চার মিনিট পর জাদুকরী এক প্রদর্শনীতে। প্রায় মাঝমাঠ থেকে ক্ষিপ্র গতিতে বল নিয়ে তিনজনকে পরাস্ত করলেন, ডি বক্সের বাইরে থেকে বিদ্যুত গতির শটে তা পাঠিয়ে দিলেন জালে। ৬৪তম মিনিটে তার দ্বিতীয় গোলটিও ছিল অনন্য সাধারণ, যা কেবল তার কাছ থেকেই পাওয়া সম্ভব। সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলে ৩৭ ম্যাচে সমসংখ্যক গোল করলেন মেসি। ২৩ গোল নিয়ে লিগেও সর্বোচ্চ। মাঠে নান্দনীক ফুটবলের পরসা সাজিয়ে মাঝের বাকি তিনটি গোলও করালেন নেইমার, ইভান রাকিটিচ ও স্যামুয়েল উমতিতিকে দিয়ে। মৌসুমের প্রথম হারের স্বাদ এই সেল্টার কাছ থেকেই পেয়েছিল এনরিকের দল।
এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে সরিয়ে আবারো লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে বার্সা। ২৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬০, এক ম্যাচ কম খেলে রিয়ালের ৫৯। গ্যারেথ বেল ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর অনুপস্থিতি এদিন বুঝতে দেননি করিম বেনজেমা। ফরাসি স্ট্রাইকারের জোড়া গোল এবং হামেস রড্রিগুয়েজ ও মার্কো অ্যাসেনসিওর গোলে এইবারের মাঠ থেকে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য শীর্ষে উঠেছিল বার্নাব্যুর দল।
তবে বার্সা শিবিরে চিন্তার বিষয় এখন লা লিগার শীর্ষস্থান নয়Ñ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেই বাঁচা-মরার ম্যাচ। ‘হ্যাঁ, আমরাও পারি ঘুরে দাঁড়াতে’ লেখা বিশাল ব্যানার হাতে সেটাই জানান দেন কালান সমর্থকরা। তাদের বিশ্বাস, বুধবারের ম্যাচে মেসি-নেইমাররা এমন খেললে ‘অসম্ভব’ কাজটিও তাদের পক্ষে করে ফেলা সম্ভব। কোচ এনরিকেও তেমন আশায় বুক বাঁধছেন, ‘আমি পিএসজি ম্যাচটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। সত্যি বলতে, সেদিন আমরা যেভাবে হেরেছি সেটা স্বাভাবিক ছিল না। তবে পরের ম্যাচে আমাদের লক্ষ্য হলো আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করা এবং ৯০ মিনিট সবাইকে দেখিয়ে দেয়া যে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি।’
সেদিনের হারের পর বার্সার আগুনে ফুটবলে চিন্তিত পিএসজি কোচ উনাই এমেরিও, ‘তরা এখন হয়তো আরো ভয়ঙ্কর। তারা চাইবে প্রথম লেগের ফলকে অতিক্রম করতে এবং সেই সক্ষমতা তাদের অব্শ্যই আছে। এজন্য আমাদের ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে কঠিন ৯০ মিনিট পার করার।’
ইতিহাস অবশ্য মেসিদের হয়ে কথা বলে না। নকআউট পর্বের প্রথম লেগে চার গোলের ঘাটতি পুষিয়ে আসরে টিকে থাকার রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নেই। এনরিকেও সেই সত্য মেনে বললেন, ‘পিএসজি আমাদের চাপে রাখবে এবং তারা অবশ্যই সেল্টার মত ডিফেন্ড করবে না।’

একনজরে ফল
এইবার ১-৪ রিয়াল মাদ্রিদ
বার্সেলোনা ৫-০ সেল্টা ভিগো
লেগানেস ১-০ গ্রানাডা
ভিয়ারিয়াল ২-০ এস্পানিওল



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ