নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : মৌসুম চলে এসেছে শেষ প্রান্তে। তুষার ইমরানের ব্যাটে রানের স্রোত থামার লক্ষণই নেই! ব্যাটে রানের জোয়ার চলছে। আর অর্জনের মুকুট যোগ হচ্ছে নতুন নতুন পালক। ক্যারিয়ার রান ও সেঞ্চুরিতে সবচেয়ে এগিয়ে তো বটেই, এবার মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডও স্পর্শ করলেন তুষার ইমরান। শেষ ম্যাচের প্রথম দিনেই করলেন আরেকটি সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি নম্বর ২৩! গতকাল থেকে শুরু হওয়া বিসিএলের শেষ রাউন্ডের প্রথম দিনে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ১০১ রানে অপরাজিত আছেন তুষার। মৌসুমে এটি তুষারের রেকর্ড ছোঁয়া পঞ্চম সেঞ্চুরি।
জাতীয় লিগের শেষ তিন ম্যাচে করেছিলেন সেঞ্চুরি। বিসিএলে সেঞ্চুরি হলো দু’টি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এটিই। তুষার স্পর্শ করেছেন লিটন দাস ও শামসুর রহমান শুভকে। ২০১৪-১৫ মৌসুমে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন। সবক’টিই ছিল জাতীয় লিগে। শুভ পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৫-১৬ মৌসুমে। জাতীয় লিগে করেছিলেন তিনটি, বিসিএলে দু’টি।
তুষারের নিজের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৪-১৫ মৌসুমে তিনটি সেঞ্চুরি। এবার পাঁচ সেঞ্চুরিতে সব মিলিয়ে তুষারের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের সেঞ্চুরি এখন ২৩টি। চলতি মৌসুমে তুষারের রান এখন ১ হাজার ১০৫। এক মৌসুমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়তে চাই আর ১২৮ রান। ১ হাজার ২৩২ রান করে রেকর্ডটি লিটনের। কাজটি কঠিন। তবে যেভাবে ছুটছেন এই তুষার, তার জন্য কাজটি কি অসম্ভব?
তবে দিনের নায়ক তুষার একাই নন। দ্বাদশ ম্যাচে এসে মৌসুমের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ২১৩ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত দু’জনই। বিসিএলের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের প্রথম দিনে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৩২৫ রান তুলেছে দক্ষিণাঞ্চল। শিরোপা জিতলে হলে এই ম্যাচ থেকে পুরো ৭ পয়েন্ট জিততে হবে দক্ষিণাঞ্চলকে। পাশাপাশি অন্য ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের কোনো পয়েন্ট পাওয়া চলবে না। অন্তত নিজেদের কাজটা এগিয়ে রাখছে দক্ষিণাঞ্চল।
বিকেএসপিতে তুষার-মিঠুনদের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। ইমরুল কায়েস ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৮৮ রান। লাঞ্চের আগে ও পরে বিদায় নিয়েছেন দু’জন। আগের রাউন্ডের সেঞ্চুরিতেই শ্রীলঙ্কার টিকেট পেয়ে গেছেন ইমরুল। ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ায় দ্বিতীয় টেস্টের আগে তাকে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন নির্বাচকরা। সুখবর জেনে ম্যাচে নেমে এবার ইমরুল করেছেন ৫৭। উইকেটে ছিলেন আড়াই ঘণ্টা।
দিনের বাকিটায় শুধুই মিঠুন আর তুষার। দু’জনের জুটিতে সারাদিনে পড়েনি আর কোনো উইকেট। তুষারের শুরুটা ছিল সতর্ক। ১০৫ বলে ছুঁয়েছেন প্রথম পঞ্চাশ। পরের পঞ্চাশ করতে লাগে আর ৫০ বল। শুভাগত হোমকে বাউন্ডারি মেরে দিনের শেষের আগের ওভারে ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তুষারের এটি ২৩তম সেঞ্চুরি। চলতি মৌসুমে পঞ্চম। স্পর্শ করেছেন মৌসুমে পাঁচ সেঞ্চুরির লিটন ও শামসুরের রেকর্ড। তিনে নামা মিঠুন সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন এর বেশ আগেই। তুষারের তুলনায় একটু বেশি আক্রমণাত্মকও ছিলেন মিঠুন। ১৪৯ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। দিন শেষে ১৭৯ বলে ১২৭ রানে অপরাজিত মিঠুন। ১৩ চারের পাশে ছক্কা তিনটি। ১৬১ বলে ১০১ রানে অপরাজিত তুষার।
এদিন ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামও দেখেছে শতকের দেখা। পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে ফরহাদ হোসেনের সেঞ্চুরি আর জুনায়েদ সিদ্দিকীর ব্যাটে ভর করে প্রথম দিনে তিনশ’ ছাড়িয়েছে উত্তরাঞ্চল। দিন শেষে ৫ উইকেট হারানো শিরোপা প্রত্যাশীদের সংগ্রহ ৩০৫। ২০২ মিনিট আর ২১৭ বল খেলে ১৪টি চার আর তিন ছক্কায় মুড়িয়ে ফরহাদ আউট হয়েছেন ১০৮ রানে। আর জুনায়েদের ৩৩৪ মিনিটের ধীর ইনিংসটি ৮৪ রানের। নাসির কিছুটা ঔজ্জ্বল্য ছড়ালেও ৪০ রানের বেশি এগুতে পারেন নি। দিনের বাকি সময়টুকু নাজমুল হোসেন শান্ত (৩৩) আর আগের রাউন্ডের সেঞ্চুরিয়ান ধীমান ঘোষ (৪) কাটিয়েছেন নির্বিঘেœই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৯০ ওভারে ৩২৫/২ (ইমরুল ৫৭, ফজলে রাব্বি ৩৯, মিঠুন ১২৭*, তুষার ১০১*; শরীফ ০/৩১, আবু হায়দার ০/৬৬, শুভাগত ১/৯৪, মোশাররফ ১/৯১, তাইবুর ০/২৮, তানবির ০/২৮)।
পূর্বাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৯০ ওভারে ৩০৫/৫ (জহুরুল ৮, জুনায়েদ ৮৪, ফরহাদ হোসেন ১০৮, নাঈম ৪, শান্ত ৩৩ ব্যাটিং, নাসির ৪০, ধীমান ৪ ব্যাটিং; সাইফুদ্দিন ২/৪২, আবুল হাসান ১/৪২, কাপালী ১/১৯, আফিফ ১/২৩) প্রধম দিন শেষে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।