পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়া অফিস : টানা চতুর্থ দিনেও কাজে যোগ দেয়নি বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। গতকাল (রবিবার) আউটডোর ও কলেজ বন্ধ করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখে। সকাল ১০ টা থেকে তারা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে মানববন্ধন ও মিছিল করেছে।
মানববন্ধন থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মুখপাত্র শাস্তি পাওয়া কুতুব উদ্দিন এ অবস্থার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে দুষছেন।
শহীদ জিয়া মেডিকেল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কুতুব উদ্দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বলেন, শাস্তি দিলে দু’পক্ষকেই দেয়া উচিত, একটি বিশেষ এলাকার লোক হওয়ায় রোগীর স্বজনদের ছাড় দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তদন্ত কমিটি মিথ্যা রিপোর্ট দিয়েছে। কাজেই শাস্তি প্রত্যাহারসহ আমাদের দাবী না মানলে ধর্মঘট চলতেই থাকবে।
সরেজমিনে রবিবার সকালে শজিমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকের সামনে রাস্তার উপর ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে যোগ দেয়। পরে তারা ১১ টার দিকে মিছিল নিয়ে মেডিকেল কলেজের দিকে যায়। মানববন্ধনকালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের বহিঃবিভাগ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে। এছাড়াও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিকেল কলেজের ক্লাস ১ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রেখে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসে। বহিঃবিভাগ ঘুরে দেখা যায়, অনেক রোগী বাইরে বসে আছে। বহিঃবিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে কর্তব্যরতরা অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। বগুড়ার ধাওয়া পাড়া থেকে বহিঃবিভাগে সেবা নিতে আসা রোকেয়া বেগম জানান, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে জানিয়ে দেয়া হয় মানববন্ধন কর্মসূচির জন্য ১২ টার আগে কোন টিকেট দেয়াসহ রোগী দেখা হবে না। শহরের চেলোপাড়া থেকে আউটডোরে চিকিৎসা নিতে রেজাউল জানান, তার শিশুর চিকিৎসার জন্য আউটডোরে গেলেও বলে দেয়া হয় ১২ টার আগে টিকেট দেয়া হবে না।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আন্দোলনে থাকার কারণে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিন কমে যাচ্ছে। জরুরী বিভাগের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত ৪ দিনে পর্যায়ক্রমে রোগীর সংখ্যা কমতির দিকে। চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে না এই আশংকায় রোগীরা বিভিন্ন ক্লিনিকসহ অন্যান্য জায়গায় চলে যাচ্ছে।
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. নির্মূলেন্দু চৌধুরী জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আউটডোরে ১ ঘন্টা রোগী দেখার প্রস্তাব করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরিফুল রেজোয়ান জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা না থাকায় তাদের অতিরিক্ত সময় দিতে হচ্ছে হাসপাতালে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, তাদের সকাল ১০ টার পর এক ঘন্টার জন্য মানববন্ধনে নিয়ে আসা হয়েছে। ১ ঘন্টা কলেজ বন্ধ থাকার বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম আহসান হাবীবকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।