মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কূটনৈতিক চ্যানেলে ওয়াশিংটন-বেইজিং সুসম্পর্কের প্রয়াস
ইনকিলাব ডেস্ক : ক্ষমতায় আসার আগে থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে চীনের। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে রণতরী পাঠালে সেই উত্তেজনা এখন চরমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনকে চাপে ফেলে বাগে আনতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই তো তারা নানা পন্থা অবলম্বন করছে। তবে চীনের ক‚টনীতিক ইয়াং জিয়েচি বলেছেন, বেইজিং এখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা ভাবছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ক‚টনীতিক সম্পর্কের উন্নতি এবং বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে এরই মধ্যে নানা বৈঠক হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করেছেন জিয়েচি। বৈঠকে বেজিংয়ের পক্ষ থেকে সুসম্পর্কের বার্তাই দিয়েছেন জিয়েচি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলতেন, একবিংশ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক হবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের অপেক্ষাকৃত উদারপন্থিরা ওবামার সেই মন্তব্যের তাৎপর্য হয়তো সেই সময় বুঝতে পারেনি। কট্টরপন্থি ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বেইজিং। নির্বাচনী প্রচারের সময়ই চীন সম্পর্কে কঠোর অবস্থানের কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। জয়ের পর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলে চীনের সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয় তারা। ট্রাম্পের পররাষ্ট্র সচিব রেক্স টিলারসনের মন্তব্য সেই আশঙ্কা আরো একধাপ বাড়িয়ে দেয়। তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে, প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক সমাধানও খুঁজতে পারে। তবে বিষয় এমন নয় যে, চীন এসব কথা মেনে নিয়েছে। ওয়াশিংটনের প্রতিটি কথার জবাব তারা দিয়েছে। তাইওয়ান ইস্যুতে এক চীন নীতি লঙ্ঘনের ফল ভালো হবে না বলে সতর্ক করে দেয়। দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চীনের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করার শামিল। তবে কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি অন্য পথে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। চীনা ক‚টনীতিকের সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর তারই প্রমাণ দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাণিজ্যিক সম্পর্কটা রয়েছে বলেই চীন-মার্কিন সম্পর্কে স্থিতিশীলতাটা এখনও রয়েছে। ওই আদান-প্রদান না থাকলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতো। কিন্তু সেই পরিস্থিতিটাও ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। তাই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার নতুন নতুন পন্থা খুঁজতে হচ্ছে তাদের। সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনার মঞ্চে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে ঠিকই। তবে বেইজিং মনে করছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ওইটুকু সম্পর্ক যথেষ্ট নয়। তবে চীনের এ উদ্যোগ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন বৃহৎ শক্তি হয়ে উঠলেও যুক্তরাষ্ট্রের পর্যায়ে পৌঁছাতে এখনও অনেকটা দেরি আছে। এ কথা বুঝতে পেরেই এখন সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করছে চীন। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।