পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা: “যেকোনো ডালের চেয়ে খেসারী ডালের আমিষের পরিমাণ বেশি” এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সম্প্রতি কালকিনি উপজেলাধীন এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরদ্দীরচরে মাদারীপুর আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র- এর উদ্যোগে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ডাল গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বারি খেসারী-৩ জাতের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদারীপুর-৩ আসনে সংসদ সদস্য, আওয়ামীলীগ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কালকিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ তৌফিকুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাজী মাহমুদুল হাসান দোদুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, কাজী নাসরীন, কালকিনি উপজেলা আওয়ামীলীগ, সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকী, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিদের বারি খেসারী-৩ জাতের বৈশিষ্ট্য স্থাপিত প্রদর্শনীর মাঠে ব্যাখ্যা করা হয়। মাঠ দিবসে প্রায় ২০০০ কৃষক কিষাণি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষি গবেষণায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন বলে আজ বাংলাদেশের কোথাও খাদ্যের অভাব নেই। কৃষি বিজ্ঞানীগণ তাদের গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। তিনি বলেন, কৃষির উন্নয়নের জন্য কৃষিবিজ্ঞানী, সম্প্রসারণবিদদের একসাথে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, “এই অঞ্চলের সকল কৃষিবিজ্ঞানীদের এক মঞ্চে পেয়ে আমি আনন্দিত হয়েছি”।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বারি’র বর্তমান মহাপরিচালককে ডাল ফসলের গবেষণায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সভাপতির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ বলেন, বর্তমান সরকার দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিকে জোর দিচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের আবহাওয়াকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে তিনি একে বিজ্ঞানীদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়ার আহ্বান জানান। ড. আযাদ বলেন, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর বিশেষ আগ্রহে খেসারী ডালের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই ফসলের বহুবিধ ব্যবহার উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেকোনো ডালের চেয়ে খেসারী ডালের আমিষের পরিমাণ বেশি। তিনি প্রধান অতিথিকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে কৃষিতে তাঁর অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুর-এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবু লাল নাগ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি আগত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ শহীদুজ্জামান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।