গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীতে গত মাসে (ফেব্রুয়ারি) ধর্ষণ, যৌননির্যাতন, নির্যাতন, অপহরণের শিকার হয় ২৩ জন শিশু ও ৬ জন নারী, ২৯ জন নারী ও শিশু। যৌতুক ও পরকীয়ার কারণে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারণে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক ঘটনা ঘটছে। উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোস্যাল ওয়েলফেয়ার (লফস) এর জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। গত মাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে ধর্ষণ-যৌননির্যাতন ৪, নির্যাতন ১৬, অপহরণের শিকার ৪ জন নারী ও শিশু।
লফসের তথ্য মতে, নগরীর কাদিরগঞ্জ অবস্থিত শহীদ নজমুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে হিজাব খুলে ছাত্রীদের বেত্রাঘাত, পুঠিয়া উপজেলার তারাপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম (১২) নামের মোবাইল ফোনের মেমোরী চুরির অপবাদে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী সুকবাসিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি েেকন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ, মোহনপুরে প্রাইভেট পড়তে এসে অপহরণের শিকার তিন ছাত্রী।
অন্যদিকে, পুঠিয়া উপজেলা বারইপাড়া গ্রামের ১২ বছরের নাজমুল হককে সিডি চুরির অপবাদে ট্রাকের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, নগরীর রানীবাজার এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে নাসরিন বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধুর আত্মহত্যা, বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়ন বড়ছয়ঘাটি গ্রামের গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, বান্ধবীকে উত্যক্ত করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে বেধড়ক পিটিয়ে আহত, নগরীর সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণীর একছাত্রী প্রকাশ্যে চড় মাড়ার ঘটনাগুলো সমাজের অবনতি বলে উল্লেখ করা হয়।
লফসের নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন জানান, রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশজনক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।