নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে মৃত ব্যক্তিরও জায়গা হয় কোনো ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটিতে! এমন অবাক করা কা-ই ঘটিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। আগের কমিটির মৃত সদস্য মরহুমা দেলোয়ারা রহমানকে তালিকায় রেখে বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংস্থার মেয়াদ উত্তীর্ণ নির্বাচিত কমিটি ভেঙে গতকাল এই অ্যাডহক কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি করে এনএসসি। ৩১ সদস্যের কমিটিতে জায়গা হয়নি নির্বাচিত সভানেত্রী, দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ক্রীড়া সংগঠক, সাবেক এমপি ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি রাফিয়া আক্তার ডলির। শুধু তাই নয়, দেশ বরেণ্য ক্রীড়া সংগঠক, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত খেলোয়াড় ও সংস্থার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার ডানাকেও রাখা হয়নি এই অ্যাডহক কমিটিতে। এ দু’জনকে পাশ কাটিয়ে অখ্যাত ও বিতর্কিত বেশ কয়েকজন সংগঠক জায়গা পেয়েছেন। ক্রীড়ক্ষেত্রে যাদের উল্লেখ করার মতো কোনো অবদানই নেই। এছাড়া দক্ষ ও স্বনামধন্য মহিলা ক্রীড়া সংগঠকদের পেছনে ফেলে কমিটির সামনের কাতারে জায়গা দেয়া হয়েছে অযোগ্য ও অখ্যাতদের। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের জায়গা হয়েছে তলানীতে। কমিটিতে এমন কয়েকজন আছেন, যাদের সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা হয়েছে ।
গেল ক’দিন ধরেই গুঞ্জন ছিল, ভেঙে যাচ্ছে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত কমিটি। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মূলত বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নির্বাচনকে সামনে রেখেই একটি মহল তৎপর ছিল মহিলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত কমিটি ভাঙতে। যে কারণে সংশ্লিষ্টরা তড়িঘড়ি করে অ্যাডহক কমিটি গঠন করতে গিয়ে মৃত ব্যক্তিকে তালিকায় রেখে তা ঘোষণা করে। এনএসসির জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, কমিটির সদস্যাদের তালিকায় ১৫ নম্বরে মরহুমা দেলোয়ারা রহমানের নাম। পূর্বের কমিটির সদস্য হলেও তিনি গত ২৫ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেন। মৃত কোনো ব্যক্তিকে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটিতে জায়গা দেয়ায় এনএসসির দায়িত্ব-জ্ঞানহীন কর্মকা- নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কমিটির সভানেত্রী করা হয়েছে সাবেক অ্যাথলেট ও জাতীয় সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা গিনিকে। আর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন হামিদা বেগম। অন্যরা হলেনÑ সিনিয়র সহ-সভানেত্রী আনজুমান আরা আকসির, সহ-সভানেত্রী- সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা, প্রফেসর ডা: ইসমত আরা হায়দার ও জোবেরা রহমান লিনু। যুগ্ন-সম্পাদিকা- ফিরোজা করিম নেলী ও ফরহাদ জেসমিন লিটি। কোষাধ্যক্ষ- রওশান আখতার ছবি। সদস্যার হলেন- সৈয়দা জান্নাত আরা, মিসেস জয়ন্তি রায়, মিসেস মুক্তা ধর, জান্নাত আরা চৌধুরী মিলি, মরহুমা দেলোয়ারা রহমান, ফরিদা আক্তার বেগম, রাবেয়া খাতুন, কমারুন নাহার হিরু, সৈয়দা মরিয়ম তারেক, পূরবী মজুমদার, শিরিন আক্তার চৌধুরী, সুলতানা রাজিয়া বেলী, অ্যাড. মায়া ভৌমিক, নাসিমা আক্তার শিরিন, আয়েশা বেগম, রাশিদা আফজালুন নেসা, শামীমা তারমীন, রুমানা আলী, নিলুফা মোমিন, হালিমা ইসলাম ও শাম্মীম আরিফ সাজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।