Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রথম শিরোপার পথে উত্তরের আরেক ধাপ

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ড্রয়ের দিনে হাজার ছাড়িয়ে তুষার
স্পোর্টস রিপোর্টার : মধ্যাঞ্চলকে ইনিংস ও ৮৫ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) প্রথম শিরোপা জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল উত্তরাঞ্চল। পঞ্চম রাউন্ড শেষে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিনাঞ্চলের চেয়ে ৬ পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে উত্তর। পূর্বাঞ্চলের সাথে দক্ষিণের ম্যাচটি ড্র হয়েছে কোনো নাটকীয়তা ছাড়াই।
সিলেটে উত্তরের জয়ের মঞ্চ প্রস্তুতই ছিল, বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। গতকাল প্রয়োজনীয় ২ উইকেট তুলে নিতে সানজামুল ইসলামরা সময় নেন ১২ ওভার। তানবির হায়দাও ও মোহাম্মাদ শরিফের আগের দিনের ৪২ রানের জুটি গতকাল বিচ্ছিন্ন হয় ৬৮ রানে, ৪২ রানে অপরাজিত থাকা তানবির সানজামুলের বলে তারই হাতে ধরা পড়ে। পরে শাহাদাত হোসেনকেও ফিরিয়ে ২৭১ রানে মধ্যঞ্চলকে গুটিয়ে দেন সানজামুল।
প্রথম ইনিংসে ১৮১ রান করে মধ্য। ৪৫ রানে ৫ উইকেট নেন লেগ স্পিনার সানজামুল। আসরে এটি তার ইনিংসে দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট। ফরহাদ রেজা নেন ৪১ রানে ৩টি। সাইফ হাসান করেন সর্বোচ্চ ৬৩ রান। জবাবে নাঈম ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত ও ধীমান ঘোষের শতকে ৫৩৭ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে উত্তর, লিড নেয় ৩৫৬ রানের। নাঈমদের জয়ের চিত্রনাট্য তখনই রচিত হয়ে যায়। ২৮৫ বলে সর্বোচ্চ ১৪২ রান করেন নাঈম। এবারের আসরের এটি ছিল তার টানা তৃতীয় ও সাকুল্যে চতুর্থ সেঞ্চুরি। পরে আলাউদ্দিন বাবুর বিধ্বংসী এক স্পেলে তৃতীয় দিনেই ২২৯ রানে ৮ উইকেট হারায় মধ্য, ইনিংস হার এড়াতে তখনও তারা পিছিয়ে ১২৭ রানে। গতকাল বাকি দুই উইকেট তুলে নেন সানজামুল। আলাউদ্দিন ৬৭ রানে নেন ৪ উইকেট, সানজামুল ১১৪ রানে ৩টি। দ্বিতীয় ইনিংসেও অর্ধশতক তুলে নেন সাইফ, ৯৮ বলে করেন ৭০ রান। এ নিয়ে ৫ ম্যাচের তিনটিতেই হারল মধ্যাঞ্চল।
দক্ষিণের সাথে ড্র করে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে যাওয়া এড়িয়েছে পূর্বাঞ্চল। ড্র হলেও তিন পয়েন্ট ঝুলিতে পুরেছে তারা, দক্ষিণের সংগ্রহ যেখানে মাত্র এক পয়েন্ট। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ প্রথম দিনেই গুটিয়ে যায় ২৯৬ রানে। ২১০ বলে সর্বোচ্চ ১৩৬ রান করেন ফিটনেসের অজুহাতে শ্রীলঙ্কা সফরে উপেক্ষিত থাকা ইমরুল কায়েস। আনামুল হক করেন ৫৮ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা বলার মত কিছুই করতে পারেননি।
৭ উইকেটে ৫২৩ রানে পূর্বের জবাবটা ছিল দারুণ। দলও লিড নেয় ২২৭ রানের। ১৭ বছরের কিশোর সাইফ হাসান করেন ২৩৮ বলে সর্বোচ্চ ১৩৭ রান। ২ রানের জন্য তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি তাসামুল হক। এছাড়াও দলের তিনজন ব্যাটসম্যান করেন অর্ধশতক। ২৯ রানে কোন উইকেট না হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করা দক্ষিণ সব মিলে ৯৬ ওভারে ৫ উইকেটে করে ১৯৫ রান। ইনিংসে চল্লিশোর্ধে ইনিংস নেই একটিও ত্রিশোর্ধো ইনিংস ৪টি। মোহাম্মাদ মিথুন ২৯ ও জিয়াউর রহমান ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচসেরা হন আফিফ।
এদিন ব্যক্তিগত ৩১ রানের পথে মৌসুমে এক হাজার রান পূর্ণ করেন ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান তুষার ইমরান। ১১ ম্যাচে একটি ডাবল সেঞ্চুরি, চারটি শতক ও তিন অর্ধশতকে ৭৭.২৩ গড়ে তার রান এখন ১ হাজার ৪। যার মধ্যে জাতীয় লিগের ৭ ম্যাচে ৫১৮ রান ও চলতি বিসিএলে ৫ ম্যাচের ৭ ইনিংসে ৪৮৬ রান। তবে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে অনেক দূরেই আছেন তুষার। ২০১৪/১৫ মৌসুমে ৯ ম্যাচে ১২৩২ রানের রেকর্ডটি লিটন দাশের।

পঞ্চম রাউন্ড শেষে বিসিএল
দল    ম্যাচ    জয়    পরাজয়    ড্র    পয়েন্ট
উত্তরাঞ্চল    ৫    ২    ০    ৩    ১৯
দক্ষিণাঞ্চল    ৫    ১    ০    ৪    ১৩
পূর্বাঞ্চল    ৫    ১    ২    ২    ১২
মধ্যাঞ্চল    ৫    ১    ৩    ১    ৯

স ং ক্ষি প্ত স্কো র
দক্ষিণাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২৯৬। পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস : ১৭৮ ওভারে ৫২৩/৭ (ডি.) (আগের দিন ২৯০/৪) (অলক ৬৬, ইয়াসির ৩৫, আবুল হাসান ৪১, সাইফুদ্দিন ৫০*, রাহাতুল ৬০*; আল আমিন ১/৯৫, রাজ্জাক ২/১৩৫, নাহিদুল ১/৯৮, জিয়াউর ১/৪২, নাজমুল অপু ২/৯৮, তুষার ০/৩৮)। দক্ষিণাঞ্চল ২য় ইনিংস : ৯৬ ওভারে ১৯৮/৫ (আগের দিন ২৯/০) (এনামুল ৩৫, ফজলে রাব্বি ৩৬, ইমরুল ৭, তুষার ৩১, শাহরিয়ার ৩৬, মিঠুন ২৯*, জিয়াউর ১১*; আফিফ ০/২১, নাঈম ২/৪৮, সাকলাইন ০/৩৬, সাইফুদ্দিন ১/১৩, রাহাতুল ১/২৩, অলক ১/২৩, আবুল হাসান ০/১৪, তাসামুল ০/১২)। ফল: ম্যাচ ড্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আফিফ হোসেন (পূর্বাঞ্চল)।

মধ্যাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : ১৮১। উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৫৩৭। মধ্যাঞ্চল ২য় ইনিংস : ৭৬ ওভারে ২৭১ (আগের দিন ২২৯/৮) (তানবির ৫১, শরিফ ৪৫*, শাহাদাত ৬; আলাউদ্দিন ৪/৬৭, সানজামুল ৩/১১৪, নাসির ০/২৩, ফরহাদ ১/৩২, নাঈম ১/৭, ইয়াসিন ১/২৭)।
ফল: উত্তরাঞ্চল ইনিংস ও ৮৫ রানে জয়ী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ