Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনার ১০জন চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না

প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খুলনা থেকে বিশেষ সংবাদদাতা : সর্বপ্রথম দলীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করায় জাতীয় রাজনীতির প্রভাবে চাঙ্গা তৃণমূল। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীর তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে বিরোধী দল-মতের প্রার্থীরা। প্রতীক না পেলেও প্রতিদিনের শুভেচ্ছা বিনিময়, জনসংযোগ ও উঠান বৈঠকে মুখর গ্রামীণ জনপদ। তবে এবার, খুলনার ১০জন বর্তমান চেয়ারম্যান এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বলে জানা গেছে। প্রথম দফার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ এবং ২২ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার বর্তমান ১০জন চেয়ারম্যান আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। তারা হলেন ফুলতলার জামিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা ড. মামুন রহমান এবং আটরা-গিলাতলার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন; জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত প্রচার সম্পাদক গাজী আব্দুল হালিমের স্ত্রী দিঘলিয়ার সেনহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারহানা হালিম; রূপসার নৈহাটি ইউনিয়নের মোঃ গোলাম মোস্তফা এবং টিএসবি ইউনিয়নের খান শাহাজাহান কবির প্যারিস; তেরখাদার বারাসাত ইউনিয়নের জামায়াত নেতা শারাফাত হোসেন দীপু; পাইকগাছার লতা ইউনিয়নের কাজল কান্তি বিশ্বাস, গদাইপুরের কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু এবং রাড়–লী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ; দাকোপ উপজেলার কামারখোলা ইউনিয়নের উমা শঙ্কর রায়। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া, রাজনৈতিক বৈরিতা ও শারিরিক অসুস্থ্যতার কারণে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বলে উপরোক্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, খুলনার ৬৭টি ইউনিয়নেই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল খ্যাত বিএনপি খুলনার ৬১টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছে। আবার জাতীয়পার্টি প্রার্থী দিয়েছে খুলনার ২৫টি ইউনিয়নে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ৭৩৮ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩ হাজার ৫৬৮জন। ১৬ দলের মনোনীত এক হাজার ৯০০ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন এক হাজার ৬৬৮ জন। একক প্রার্থী রয়েছেন ২৫ ইউপিতে। প্রথম ধাপেই আওয়ামী লীগের ২৫জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হওয়ায় বিষয়টি প্রমাণ করে তৃণমূলে কতখানী পিছিয়ে ক্ষমতাসীনদের বিপরীত মেরু।
স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রচার-প্রচারণায় ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থীরাই এগিয়ে রয়েছেন। প্রতীক না পেলেও প্রতিদিনের শুভেচ্ছা বিনিময়, জনসংযোগ ও উঠান বৈঠকে মুখর গ্রামীণ জনপদ। খুলনার দক্ষিণপ্রান্তের সুন্দরবন ঘেঁষা কয়রার দক্ষিণ বেদকাশি থেকে উত্তরের তেরখাদা উপজেলার সাচিয়াদহ ইউনিয়ন পর্যন্ত স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় চষে ফিরছেন প্রার্থীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনার ১০জন চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ