ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তার স্থিতিশীলতা বড়ই নড়বড়ে। বিরোধী দল ছাড়াও গণমাধ্যম, মার্কিন সুশীল সমাজ এবং মানবাধিকার কর্মীরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ট্রাম্পবিহীন আমেরিকার দাবিতে নিউ ইয়র্কে আন্দোলন হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন সিনেট ট্রাম্পকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিলে সেটি খুব বেশি আশ্চার্যের হবে না। ‘আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব মস্কো’র প্রেসিডেন্ট অ্যাডওয়ার্ড লোজানেস্কি বলেন, ‘এটি ইমপিচমেন্ট পর্যন্ত পৌঁছাবে বলে আমি মনে করি না। কারণ আমেরিকার ইতিহাসে প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের ঘটনা খুবই কম। অভিশংসন নিয়ে আমেরিকায় দুইটি পদক্ষেপের কথা আমরা জানি, একটি ১৮৯০ সালে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ আরেকটি বিল ক্লিনটনের ঘটনা।’ প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করতে হলে সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। রিপাবলিকান দল কখনোই এই পদক্ষেপ নেবে না। তবে এর মানে এই নয় ট্রাম্প অন্যান্য সমস্যা এড়িয়ে যেতে পারবেন। ট্রাম্প ক্যাম্পেইনে বলা তার প্রতিশ্রæতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমছে। তবে ট্রাম্প অনেক আমেরিকান মানুষের সমর্থন উপভোগ করছেন। ফ্লোরিডায় তার প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পেইনে প্রায় ২ হাজারের মতো মার্কিন নাগরিক জড়ো হয়েছিলেন। তিনি এটিকে তার প্রতি বিরাট সমর্থন বলে মনে করেছেন।
কোন সিনেট সদস্য যদি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে প্রেসিডেন্টকে ইমপিচমেন্টের কথা উত্থাপন করে তাহলে স্পিকার পল রায়ান ইমপিচমেন্টের যথার্থ কারণ ও এই সম্পর্কে কড়া জবাব চাইবেন। আর রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দল অর্থাৎ সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশের ভোট প্রয়োজন হবে। এটি কখোনোই সম্ভব হবে না, কারণ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং কংগ্রেস, সিনেটের উভয় কক্ষে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। জন ম্যাককেইনের মতো ট্রাম্পের অনেক কট্টর সমালোচক মার্কিন সিনেটে আছেন, তাই ইমপিচমেন্টের প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু পল রায়ান ও সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ট্রাম্প প্রশাসনের ৪ বছর মেয়াদ অক্ষুণœ রাখবে। প্রাভদা নিউজ রাশিয়া।