মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : বড় ধরনের জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে ব্রিটেন। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনের একজন স্বাধীন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ম্যাক্স হিল এই দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ’৯৭০-এর দশকে আইআরএর বোমা হামলার হুমকির পর এখন ব্রিটেন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলার হুমকির সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাদের হামলার প্রধান লক্ষ্য শহর। এই দাবির সঙ্গে ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
দ্য সানডে টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্স হিল দাবি করেছেন, বেসামরিক মানুষেরাই ওই হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে যাচ্ছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে নিরাপরাধ সাধারণ মানুষদের উপর নির্বিচারে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে তার দাবি। ১৯৭০ দশকে উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী আর্মি (আইআরএ) খুব সক্রিয় ছিল। তখন তারাও ব্রিটেনে এ ধরনের হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ম্যাক্স হিল বলেছেন, আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি (আইআরএ) যেমন মূল ভ‚খÐে বোমা হামলা চালিয়ে ত্রাস স্রষ্টি করেছিল আইএসও ঠিক তাদের মতোই একটা বড় হুমকি হয়ে বিরাজ করছে। ব্রিটেন আইআরএর পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছিল উল্লেখ করে হিল বলেন, আমি মনে করি, আইএস হামলার পরিকল্পনার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। সাক্ষাৎকারে হিল আরও বলেন, তারা যখন-তখন আক্রমণ করতে পারে। আমাদেরকে এর তীব্রতা ও গুরুত্ব বুঝে এ চক্রান্তের সম্ভাব্য পরিকল্পনা এঁকে প্রতিহত করতে হবে। সত্তরের দশকে উত্তর আয়ারল্যান্ডের আইরিশ রিপাকলিকান আর্মি (আইআরএ) যুক্তরাজ্য থেকে বিছিন্ন হয়ে ইউনাইটেড আয়ারল্যান্ড গঠনে স্বশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেছিল। তবে প্রায় অর্ধশতাব্দী আগের আইআরএ এবং বর্তমান আইএসএর মানসিকতায় পার্থক্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেন হিল। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, যে ঘন ঘন মারাত্মক ধরনের হামলা পরিকল্পনা অহরহই হচ্ছে তাতে আমাদের সামনে একটা মস্তবড় ঝুঁকি বিরাজ করছে। আমাদের কারও পক্ষে তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। ১৯৭০ সালে আইআরএ যখন আমাদের মূলভ‚মিতে সক্রিয় ছিল তখন লন্ডনের উপর যে মাত্রায় হামলার হুমকি ছিল বর্তমান হুমকি নিঃসন্দেহে অন্তত সেই পর্যায়ের বলেই আমার বিশ্বাস। তিনি আইএস এ যোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ইরাক ও সিরিয়া যাওয়ার সংখ্যার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, সংখ্যাটি এত বেশি যে তা মারাত্মক উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর অর্থ যুক্তরাজ্যের নাগরিক যারা আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়েছিল তাদের অন্তত শতাধিকজন দেশে ফিরে এসেছে বা আসার প্রস্তুতি নিছে, এটি আমরা সবাই জানি। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বের রুড গত রোববার স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, তার কাছে যুক্তরাজ্যের সুরক্ষা সবার আগে। যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির বিষয়ে হিলের মূল্যায়নের সঙ্গে একমত পোষণ করে তিনি আরও বলেন, একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে খুব ভালোভাবে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি বড় ধরনের ঝুঁকি যা আমরা কেউই উপেক্ষা করতে পারি না। তাদের এ ধরনের হুমকি যেমনই হোক না কেন; মহানগর অঞ্চলে নিরপরাধ নাগরিকদের উপর নির্বিচারে আক্রমণ করার দৃশ্য কেউই মেনে নিতে পারবো না। হিল বলেন, ১৯৭০ দশকে উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী আর্মি (আইআরএ) খুব সক্রিয় ছিল। তখন তারাও ব্রিটেনে এ ধরনের হামলার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু ব্রিটেন সে পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছিল। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আইএস হামলার পরিকল্পনার বিষয়টিও ব্রিটেনতে গুরুত্বসহকারে নিয়ে এগুতে হবে। সাক্ষাৎকারে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি মোকাবেলায় গোয়েন্দা সংস্থার সক্রিয় ভ‚মিকার প্রশংসা করেছেন ম্যাক্স হিল। আর ব্রিটিশ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, ইরাক ও সিরিয়ার মাটিতে জঙ্গিদের যেভাবে ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হছে, ব্রিটেনের লক্ষ্যও থাকবে সেটা। দ্য সানডে টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।