Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সামরিক খাতে ব্যাপক ব্যয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা ট্রাম্পের

| প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আত্মরক্ষার অজুহাতে সামরিকতার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিচ্ছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি না করার নির্বাচনী অঙ্গীকার থেকে সরে এসে তিনি অতীতের মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতায় সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার প্র্র্র্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যখাতের মতো খাতগুলোতে ব্যাপক হারে ব্যয় কমিয়ে প্র্র্র্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে দ্রæত ব্যয় বৃদ্ধি সংযুক্ত করে আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট তৈরির নির্দেশ দেবেন ফেডারেল এজেন্সিগুলোকে। তার এই পরিকল্পনায় পরিবেশ সুরক্ষার মতো জরুরি খাত এবং অবসরভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এর আগে শুক্রবার কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) বড় আকারের সামরিকবান্ধব’ বাজেট পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবারের এক সাক্ষাৎকারে পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা বাড়ানোর সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। ডিসেম্বরের এক টুইটার পোস্টেও তিনি একই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আগামীকাল মঙ্গলবার কংগ্রেসের যৌথ অভিবেশনে ভাষণ দেবেন ট্রাম্প। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ভাষণকে সামনে রেখেই সামরিক ও পারমাণবিক ইস্যুতে নিজের ভাবনা-চিন্তা তুলে ধরেন মার্কিন ইতিহাসের সবথেকে বিতর্কিত এই প্রেসিডেন্ট। গত শুক্রবার কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) সামরিকবান্ধব বাজেট পরিকল্পনার একটা আভাস দিয়েছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি হোয়াইট হাউসের সমালোচিত মার্কিন নীতি’র পক্ষেও সাফাই গেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, কনজারভেটিভ রাজনীতিতে এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। এই সংগঠনটিই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থিতা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সিপিএসি-র সম্মেলনে ট্রাম্প মার্কিন ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম সামরিক প্রতিষ্ঠা’র আভাস দিয়েছেন। মঙ্গলবারের ভাষণকে সামনে রেখে সিপিএসি কনফারেন্সে ট্রাম্প জানান, আক্রমণ এবং আত্মরক্ষা-এই দুই ক্ষেত্রেই সেনাবাহিনীর সামর্থ বাড়াতে বাজেট বৃদ্ধির জন্য তিনি কংগ্রেসে আহŸান জানাবেন। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন সামরিক খাতকে আগের চেয়ে বড়, দক্ষ ও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে বলেও মনে করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আশা করছি এই ক্ষমতা আমাদের প্রয়োগ করতে হবে না। তবে সামরিক খাতে এটা হবে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের বিনিয়োগ। কনফারেন্সে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে সীমান্ত প্রাচীর তৈরির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার জানিয়েছেন, এবছরের জন্য ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বাজেট হবে খুবই স্বচ্ছ। তবে কিভাবে সামরিক তহবিল থেকে অতিরিক্ত ব্যয় হবে তারও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া থাকবে বাজেটে।
এদিকে রয়টার্সকে দেয়া বৃহস্পতিবারের সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রের ভান্ডার আরো সমৃদ্ধ করার আভাস দেন ট্রাম্প। ট্রাম্প সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, তিনি পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত একটি বিশ্ব দেখতে চান। তবে এই দাবির সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন, তবে পারমাণবিক শক্তির প্রশ্নে আমরা কোনো দেশের থেকেই পিছিয়ে থাকতে রাজি নই, এমনকি তা কোনো বন্ধুপ্রতিম দেশ হলেও। গত বছরের ডিসেম্বরে দেয়া এক টুইটার পোস্টেও ট্রাম্প বলেছিলেন, গোটা বিশ্বে পারমাণবিক প্রকল্পের প্র্রশ্নে উপলব্ধি সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভার শক্তিশালী ও স¤প্র্র্র্রসারিত করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী সংগঠন প্লাওশেয়ার্স ফান্ডের তথ্য বলছে, রাশিয়ার হাতে ৭ হাজার পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ৬ হাজার ৮০০টি। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, স্থলভিত্তিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্তার ঘটিয়ে রাশিয়া ১৯৮৭ সালের মার্কিন-রুশ চুক্তির লঙ্ঘন করেছে। উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জা প্র্র্রাণ ও দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ত্বরান্বিত করা এ সমস্যা সমাধানের অনেক উপায়ের একটি। তবে চীন চাইলেই খুব সহজে এ সমস্যার সমাধান করতে পারে। নিউইয়র্ক টাইমস, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ