মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ১৯৯০ এর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতেন এবং এখনকার মতো অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতেন তাহলে মেলানিয়া ট্রাম্পকেও আর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হত না। ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নিদের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ১৯৯৬ সালে মেলানিয়া যুক্তরাষ্ট্রে মডেলিং করে ২০ হাজার ডলারের উপরে কামিয়েছিলেন, অথচ তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন ট্যুরিস্ট ভিসায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিমালা অনুযায়ী ভ্রমণ ভিসায় দেশটিতে গিয়ে আয় করার নিয়ম নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি বা ওয়ার্ক পারমিট পান। মডেলিংয়ে অতগুলো টাকা কামানোর প্রায় সাত সপ্তাহ পরে মেলানিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছিলেন বলে ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এরও পাঁচ বছর পর তিনি গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০০৬ সালে মেলানিয়া তখনকার নীতি অনুযায়ী আগের অন্যায়ের কথা না জানিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান। এখনকার সময়ে যা তার জন্য প্রায় অসম্ভব ছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী দেশটির ইমিগ্রেশন অফিসাররা এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেসব অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে, যারা সরকারি দপ্তরে আবেদনের আগে প্রতারণায় যুক্ত ছিলেন কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো বিষয়ে কর্মকর্তাদের ভুল তথ্য দিয়েছেন। স্লেট ম্যাগাজিনের ব্লগসাইটে দুই ইমিগ্রেশন অফিসারের বরাত দিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানাচ্ছে, মেলানিয়া ১৯৯৬ সালে যা করেছিলেন এবং পরে তার উল্লেখ না করেই যে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী হওয়ার আবেদন করেছিলেন, তা এখনকার নিয়ম অনুযায়ী হত ভয়াবহ অপরাধ। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ আর হোমল্যান্ড সিকিউরিটির নতুন নির্দেশনা যদি সে সময়ে কার্যকর থাকত, তাহলে তিনিও (মেলানিয়া) ফেরত পাঠানোর অগ্রাধিকার তালিকায় থাকতেন, বলেন লিগ্যাল এইড সার্ভিসের ইমিগ্রেশন ল ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি হাসান শফিকুল্লাহ। এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন নিউইয়র্কের ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ শেরিল ডেভিড।
তিনি বলেন, মেলানিয়া ট্রাম্প যদি সে সময়ে ভ্রমণ ভিসায় এসে কোনো কাজ এবং তা থেকে আয় করেন তাহলে অবশ্যই তা ছিল তার অভিবাসন মর্যাদার খেলাপ। এটা যদি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের নজরে আসত তাহলে অবশ্যই তারা তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করত। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, মেলানিয়ার স্থায়ী বসবাসের সুযোগ এখনও হুমকির মুখে পড়বে যদি প্রমাণিত হয় তিনি নাগরিকত্বের আবেদন করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন, বা কোনো তথ্য গোপন করেছিলেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।