রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জে বালু বিক্রিকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কবির সরদার (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত ও কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় ১০টি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে আটক করেছে। নিহত কবির সরদার নখড়িরচর গ্রামের মৃত সফর সরদারের ছেলে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নখড়িরচর গ্রামে সরদার ও মল্লিক বংশের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ওই দুই বংশের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও চর দখল নিয়ে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সকালে খাজা মল্লিক বাঁওড় ড্রেজিংয়ের বালু বিক্রি করতে যান। এতে আল আমিন সরদার বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দুই বংশের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে কবির সরদারসহ ছয়জন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কবির সরদারকে গোপালগঞ্জ আড়াইশ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সংঘর্ষ চলাকালে রফিক সরদার, নাসির সরদার, আমিনুর সরদার, কায়সার মল্লিকের বাড়িসহ ১০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি রফিকুল সরদার (৫৫) গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে গেছেন। আহত অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পালিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গোপালগঞ্জ আড়াইশ বেড জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তপন মজুমদার বলেন, কবির সরদারকে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করার পর মারা যান। তারা মাথায় আঘতের চিহ্ন ছিল। রফিকুল সরদার গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে যান। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. সেলিম রেজা বেশ কয়েকজনকে আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কবিরের লাশ গোপালগঞ্জ আড়াইশ বেড জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।