বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনার মাছের বাজার ভেজাল চিংড়িতে সয়লাব হয়ে গেছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল দেয়া চিংড়ি মাছ বিক্রি করছে প্রকাশ্যেই। সূত্র মতে, শক্ত খলসের চিংড়ির মাথায় ইনজেকশন করে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে নানা ধরনের অপদ্রব্য। জেলি দেয়া হচ্ছে । এই জেলি হলো এক ধরনের সাদা রঙ। চিংড়িতে দেয়া হয় এরারুট, ম্যাজিক মার্বেলসহ নানা অপকারী পদার্থ যা মানব দেহের জন্যে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।এই চিংড়ি খেয়ে মানুষ কিডনি, লিভার রোগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। মৎস্য ব্যবসায়ীর নেতা ইকবাল জানান, এগুলো প্রতিরোধ হওয়া দরকার। মানুষ খুলনা, সাতক্ষীরার ঘেরের চিংড়ি বলে যা হাজার টাকা প্রতি কিলো দরে কিনছেন, সেই চিংড়ি আসলে ভেজাল। মৎস্য ব্যবসায়ী ইকবালের মতে এর চেয়ে আমাদের জেলা বা অন্য জেলার বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ে ধরা ক্ষুদে চিংড়ি হাজারগুন ভালো। এই চিংড়িতে কোনো ভেজাল নেই। মানব চোখের আড়ালে জেলার বাইরে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই ভেজাল কাজ করে যাচ্ছেন। পাবনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখালেন, মৎস্য ব্যবসায়ী ইকবাল। তার সাথে ঘুরে ক্রেতাদের জিজ্ঞাসা করে জানা গেলো, তারা ভেজাল চিংড়ি সম্পর্কে আসলে তেমন কিছুই জানেন না। এগুলো গলদা চিংড়ি মনে করে কিনছেন। ছবি তুলতে বাদ সাধলেন এক ফরিয়া ব্যবসায়ী । বললেন, আংকেল, আমরা এগুলো কিনে এনে বিক্রি করি। অন্যত্র কি হয় জানি না। ছবিতে আমাদের চেহারা উঠবে। আমাদের পেটে লাথি মারবেন না। ক্রেতা সাধারণ বিষয়টি অবহিত না হলেও জেলা মৎস্য অধিদফতররের কর্মকর্তারা করেন কি? এই প্রশ্ন একজন ক্রেতার। অন্যজন বললেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ এগুলো নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে পারে। গণ সচেতনতা সৃষ্টি করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।