Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন

প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাজিম বকাউল, ফরিদপুর থেকে : ফরিদপুরের নগরকান্দার প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি নিজ নিজ দলের মনোনয়োন পেতে মনোনয়োন যুদ্ধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুন গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অলি-গলি, হাট-বাজার ও রাস্তার মোড় ছেয়ে গেছে। প্রার্থীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নানামুখী তৎপরতাসহ দলীয় মনোনয়ন লাভের জন্য উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। প্রার্থীদের এমন তৎপরতার ফলে ভোটারদের মধ্যেও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ এ প্রথম ধাপে ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এপ্রিল-মে ও জুন মাসে পরবর্তী ধাপের নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। সেই মোতাবেক চতুর্থ বা পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে নগরকান্দা উপজেলার ইউনিয়ন নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার ঘোষণা দিয়েছে পৌর নির্বাচনের ন্যায় ইউনিয়ন নির্বাচনও দলীয় প্রতীকের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন এবং দলীয় মনোনয়োন লাভের আশায় নেতাদের নিকট ধরনা দিচ্ছেন। কে পাবেন দলীয় মনোনয়োন, সেটি চূড়ান্ত না হলেও সব প্রার্থীই দলীয় মনোনয়োন পাওয়ার আশায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে নির্বাচনী মাঠে প্রতিটি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় তারা দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে পারবে না, তবে সতন্ত্র হিসেবে এখনও কাউকে প্রচার প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না। উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান সাহেব ফকির, সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসরাইল মিয়া, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার অহিদুল বারী আলম, উপজেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান পথিক। অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্র্র্থী উপজেলা বিএনপির সহ- সভাপতি আতিয়ার মোল্যা ও উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল আলম রিজু। কাইচাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ঠান্ডু, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মোস্তফা খাঁন ও জাকির হোসেন। অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সাঃ সম্পাদক সাহেব আলী ও উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোস্তফা।
শহীদনগর ইউনিয়নে সতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুজ্জামান অনু, আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাঃ সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আক্কাস আলী। অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্র্থী, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন বকুল, যুবদল নেতা জামাল উদ্দিন তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক এস এম ওমর আলী। পুরাপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সোবহান মিয়া, সদ্য বিএনপি হতে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী নেতা মান্নান ফকির, আওয়ামী লীগ নেতা কবির ও মাহফুজ মাওলানা। অপরদিকে বিএওনপির সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলা বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক দাউদুর রহমান ফকির, উপজেলা বিএনপির সদস্য অমর খাঁন, সদস্য নূর ইসলাম। লস্করদিয়া ইউনিয়নে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার, উপজেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আইয়ুব মুন্সি, বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন মাস্টার ও জাকির হোসেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ফকির, সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মসিউর রহমান মসি। তালমা ইউনিয়নে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা ফিরোজ খাঁন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাত্তার চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক খায়রুজ্জামান খায়রুল, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি অদুত। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সহিদ মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম মিয়া। ডাঙ্গী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী আবুল কালাম, সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সরদার সাইফুজ্জান বুলবুল। অপর দিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বদরুজ্জামান তারা ও উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মদলের সভাপতি চোকদার জহির উদ্দিন লুলু। ফুলসুতি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আরিফুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল শেখ, সাবেক সাঃ সম্পাদক ছালাম মুন্সি ও আওয়ামী লীগ নেতা এনায়েত চৌধূরী। অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সাঃ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মোমরেজ আলম ও বিএনপি নেতা হারেজ ফকির। রামনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাইমুদ্দিন মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কুদ্দুস ফকির। অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা গিযাসউদ্দিন মন্ডল, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাত্তার মন্ডল, সাঃ সম্পাদক ছালাম বেপারী নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও নিজ নিজ দলের মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া মহল্লার মোড়ে মোড়ে এবং চায়ের দোকানে প্রার্থীদের নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ চলছে। কে হবেন আগামী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। কোন দল থেকে কে পাবেন দলীয় নমিনেশন এসব বিষয়গুলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নানা উন্নয়নের কথা শোনাচ্ছেন। এছাড়াও রাস্তাঘাট, বিদ্যুত পানি নিষ্কাশন ও মাদকমুক্ত ইউনিয়নসহ নানা ধরনের জনকল্যাণমুখী কাজের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এছাড়া কে পাবেন দলীয় নমিনেশন তার উপর বিরাজ করছে জয় পরাজয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ