রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : তৃণমূল নেতাদের প্রদত্ত সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে পারেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতি তারিক আল মামুন। আর তিনি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় এলাকার সাধারণ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ফুঁঁসে উঠেছেন মনোনয়ন প্রদানকারী উপজেলা ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি। আর এ ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নে। আড়িয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় সাধারণ নেতা-কর্মীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি আড়িয়া ইউনিয়নের বড়গাংদিয়া হাইস্কুল মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। আড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ময়নাল হকের সভাপতিত্বে ওই সভায় উপস্থিত ৬৬ সদস্যের মধ্যে ৪৩ ভোট পেয়ে একক প্রার্থী হিসেবে তারিক আল মামুন মনোনীত হলে তা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের হাতে পৌঁছানো হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তারিক আল মামুনের নামটি বাদ দিয়ে দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফেরা সাঈদ আনসারি বিপ্লবের নাম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ অফিসে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে আড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ময়নাল হক জানান, আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি! যে একটিও ভোট পাননি, বর্ধিত সভায় উপিস্থতও ছিলেন না। কীভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তার নাম কেন্দ্রে পাঠানো হলো। তা আমার অজানা এবং এ নিয়ে আমিও চরম ক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে তারিক আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্র রাজনীতি করেছি। এরপর তৃণমূলে এসে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। তৃণমূল সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে আমাকে সেই ফল দিয়েছে। কিন্তু নেতারা আমাকে বাদ দিয়ে এমন একজনের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন যাদের কারণে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালীন আমাদের পরিবারের লোকজন পালিয়ে বেড়িয়েছে, থাকতে হয়েছে আত্মগোপনে। বিষয়টি দেখার জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ রাখলাম। উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে আগামী ৩১ মার্চ নির্বাচন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।