Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই নারী ও দুই বিদ্রোহীসহ ৩১ জনের মনোনয়নপত্র জমা

প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পাথরঘাটা (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : বরগুনার পাথরঘাটায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে দুজন মহিলাসহ প্রার্থী হয়েছেন ৩১ জন। মা ও পুত্র উভয়ে প্রার্থী হয়েছেন এক ইউনিয়নে। সংরক্ষিত ২১ আসনের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন চারগুণ। ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে স্ব স্ব ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা। মনোনয়ন জমাকালে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থক নিয়ে মিছিল-স্লোগান দিয়ে আসেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য মতে, পাথরঘাটা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩১ জন প্রার্থিতা জমা দেন। এর মধ্যে দুজন নারী প্রার্থী। এরা হলেনÑ কালমেঘা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বেগম নূর আফরোজ হেপী এবং চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি দলীয় মনোনীত প্রার্থী মো. কামরুল ইসলামের মা খাদিজা বেগম। স্থানীয়রা জানান, কামরুল তার মাকে ডামি হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। ফোনে কামরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগের প্রতি ইউনিয়নে একজন করে মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও মনোনয়ন বঞ্চিত উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকন মো. শহিদ কালমেঘা ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র এবং বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী কাকচিড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বশির আহমেদ শিকদার প্রার্থী হয়েছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন (চরমোনাই) থেকে। এ ছাড়া ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন (চরমোনাই) থেকে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টি উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. ইমাম হোসেন বাবুল। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ২৬৪ সদস্য প্রার্থী ও সংরক্ষিত ২১টি আসনের বিপরীতে ৮৪ জন নারী প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সদর ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী মতিউর রহমান মোল্লা, কালমেঘা ইউনিয়নের নুর আফরোজ হেপী, চরদুয়ানী ইউনিয়নের কামরুল ইসলামসহ একাধিক বিএনপি দলীয় প্রার্থী দাবি করেন, সরকারি দলের প্রার্থীরা মিছিলসহকারে প্রার্থিতা জমাদানের জন্য আসেন। এ ব্যাপারে কালমেঘা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী গোলাম নাসির দাবি করেন, তাদের সঙ্গে ইউনিয়নের কোনো লোক আসেনি, পৌরসভার লোকজন কেউ থাকতে পারে। এ ব্যাপারে পাথরঘাটা নির্বাচন অফিসার ও ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আমি মনোনয়নপত্র জমা নেয়ায় ব্যস্ত ছিলাম। কে বা কারা মিছিল দিয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি তদন্ত করে সত্যতা পেলে যারা আচারণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ২ মার্চ। এসব ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২২ মার্চ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুই নারী ও দুই বিদ্রোহীসহ ৩১ জনের মনোনয়নপত্র জমা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ