মেলার খবর
হুমায়ূনের জন্য এখনওমন কাঁদেবাংলা উপন্যাসের কিংবদন্তি লেখক হুমায়ূন আহমেদের জন্য এখনো পাঠকের হৃদয় কেঁদে ওঠে। কয়েক বছর আগে মারা গেছেন এ লেখক। কিন্তু জীবন্ত হয়ে
ফা হি ম ফি রো জ : বই মেলায় পা রাখলেই এক ধরনের আনন্দে প্রাণের সুর বেজে উঠে। আহ কত দিন যেন দেখিনি এমন পরিচ্ছন্ন ঝলমলে বইমেলা। এই হাহাকার ছিল বহু বছর আগে থেকেই। আজকের বই মেলায় যে আধুনিক রূপটা দৃশ্যমান হয়ে উঠছে, এটা একদিনে হয়নি। এজন্য মিডিয়া, সাংবাদিক, মেলা কর্তৃপক্ষ এবং বরেণ্য লেখকদের বিভিন্ন পরামর্শ জ্বালানি হিসেবে কাজ করেছে। পূর্ববর্তী বই মেলায় প্রাণছিল, কিন্তু নীতিমালা তেমন সুদৃঢ় ছিল না। এখন সে অবস্থা অনেকটাই নেই। একুশে মেলার পরিধি যেমন বেড়েছে তেমনি এক ধরনের কষ্টও বেড়েছে। কষ্টটা দু’ধরনের। প্রচুর স্টল, পছন্দের স্টল খুঁজে পেতে বই প্রেমীদের অন্তহীন হাঁটতে হচ্ছে। দুই. লাগামহীন আড্ডার পরিবেশ সংকুচিত হয়ে এসেছে নানা করণে। হুট করে কিছু খেতে চাইলেও হাতের নাগালে পাওয়া যায় না, একটু দূরে যেতে হয়। খাবারের দামও বেশি। এবার মেলা মনে হচ্ছে নানা কল-কব্জায় আচ্ছন্ন। প্রায় সবকিছুই নীতিমালায় আবদ্ধ। ইচ্ছে করলেও কেউ নীতিমালা ভাঙতে পারছে না। প্রহরীদের অবস্থান, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এসব নানা কিছু মেলাকে নতুন মাত্রা দান করেছে।
প্রায় প্রতিটি বই উপরের ভাগ আকর্ষণীয়। কিন্তু ভেতরে? অসংখ্য ভুল বানান ও বাক্য দৃষ্টিকটু। দ্রæত বই বের করতে গিয়ে বহু বই পাঠের অযোগ্য। এ দায়ভার প্রকাশক এবং লেখকদেরই। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে যদি প্রকাশকরা বইয়ের কাজ বেশির ভাগ সম্পন্ন করতে পারেন তা হলে বইয়ে ভুলের সংখ্যা কমে আসবে। বেশির ভাগ প্রকাশকই ব্যবসায়ী এবং সাহিত্যমনা নয়। ফলে একজন দুর্বল লেখক যাই লেখেন তা না পড়েই প্রকাশক মুদ্রণের ব্যবস্থা করেন।
এজন্য বইয়ের মানও নিম্নমুখী। একজন সম্পাদক রেখে তাদের দিয়ে যদি পান্ডুলিপি সম্পাদনা করা যেত তা হলে এ ধরনের ভয়াবহ ভুল থেকে পাঠকরা রক্ষা পেত। শোনা যায় প্রাইমারি পড়া ব্যক্তিও এখন নাকি বাংলা বাজারে প্রকাশক। সুতরাং এদের কাছে পাঠকরা কি পাবেন, তা সহজেই অনুমেয়। প্রত্যেক প্রকাশকের অনিবার্য কর্তব্য একজন সম্পাদকের মাধ্যমে পান্ডুলিপি সংশোধন, কিন্তু এজন্য যে যৎসামান্য অর্থ ব্যয় হবে, এটা তারা করতে নারাজ। বই মেলায় কোনো কোনো প্রকাশককে দেখা গেছে নিজের লেখা বই সুন্দর কাগজে ও প্রচ্ছদে বের করেছে, কিন্তু মৌলিক লেখকদের বইয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে উল্টোটা। এরা বুঝতে চায়না ইচ্ছে করলেই যে কেউ লেখক হতে পারে না। প্রকাশকদের এই নোঙরা মনোবৃত্তি আগামীতে ত্যাগ করতে হবে। সাহিত্য-শিল্প-বিজ্ঞান নানা বিষয়ক বইয়ে এবার মেলা পূর্ণ কিন্তু বেচাকেনা? একাধিক স্টলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতবারের চেয়ে এবার বিক্রি কম। এবার বইয়ের মূল্য একটু বেশি। ইচ্ছে থাকলেও অনেকে তা ব্যাগে ভরতে পারছে না। তারপরও মহান একুশের বই মেলা এবার সত্যি সুন্দর রুচিশীল প্রায় আন্তর্জাতিক মান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।