ভুলে ভরা বই বাদ দিলে মেলা চমৎকার
ফা হি ম ফি রো জ : বই মেলায় পা রাখলেই এক ধরনের আনন্দে প্রাণের
হুমায়ূনের জন্য এখনও
মন কাঁদে
বাংলা উপন্যাসের কিংবদন্তি লেখক হুমায়ূন আহমেদের জন্য এখনো পাঠকের হৃদয় কেঁদে ওঠে। কয়েক বছর আগে মারা গেছেন এ লেখক। কিন্তু জীবন্ত হয়ে আছেন পাঠকের হৃদয়ে। গতকাল বিকালে এমনই কজন হুমায়ূন ভক্তের সঙ্গে কথা হয়েছিল বইমেলায়। মনিরুল হাসান এবং শিরাজ শেখ নামের দুজন পাঠক হুমায়ুন আহমেদের কথা বলতে গিয়ে প্রায় কেঁদে ফেলে বলেন- ‘এমন মৃত্যু মেনে নেয়া কঠিন’।
আইন আছে, আইন নেই
আইন আছে, আইন নেইÑ এমনটা দেখা গেছে এবার বইমেলায়। ক’দিন আগে রাত ৮-২৯ মিনিটে মেলা প্রাঙ্গণে (উদ্যানে) কজন বইপ্রেমী ঢুকতে চাইলে প্রহরারত পুলিশ বাধা দিয়ে বলেন, এখন ঢোকা যাবে না। এক ঘণ্টা পড়ে আসেন। সাথে সাথে একজন বইপ্রেমী বলে ওঠেনÑ এক ঘণ্টা কি মেলা থাকবে? এর পাঁচ মিনিট পরেই কিছু বইপ্রেমীকে মেলায় ঢুকতে দেওয়া হয়।
লিটন ম্যাগ কর্ণার
মেলায় রয়েছে লিটন ম্যাগ কর্ণার। নানা রকমের প্রচ্ছদে এবং নানা রকমের লেখায় সমৃদ্ধ বিভিন্ন লিটল ম্যাগ রয়েছে এই কর্ণারে। পাঠকদের কর্ণারে যতটা আনাগোনা রয়েছে, সে তুলনায় বেচাকেনা কম। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রকাশিত এসব ম্যাগের অনেক সম্পাদকই এ কর্ণারে এসেছেন। তাদের ক্ষোভও কম নয়। বিজ্ঞাপন সঙ্কটে তারা জর্জরিত। সে সঙ্গে লিটল ম্যাগের প্রকৃত নীতিমালা নিজেরাই আবার ভঙ করছেÑ এনিয়েও তাদের অনেকের আক্ষেপ রয়েছে। কয়েকজন সম্পাদক তো বলেই ফেলেন কর্পোরেট সাহিত্য এদেশের সাহিত্যের মেরুদÐ ভেঙে দিচ্ছে।
বন্ধ হোক কর্পোরেট সাহিত্য
বন্ধ হোক কর্পোরেট সাহিত্য। এরকম একটা চাপা শ্লোগান মেলায় বিভিন্ন আড্ডায় এবার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা লেখক হিসেবে অপরিচিত ব্যক্তিদের সহায়তায় সাপ্তাহিক সাহিত্য পাতাগুলো সম্পাদনা করে থাকে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মৌলিক লেখকরা। কারণ এদের তারা চেনে না। তেল বিদ্যাও এদের জানা নেই। এদের বিরুদ্ধে রয়েছে উৎকোচ গ্রহণসহ নানা অভিযোগ। যা মৌলিক সাহিত্য লালনের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা।
আড্ডা এবং আড্ডা ...
আড্ডা হলো বই মেলার প্রাণ। যেদিকেই চোখ যায় বই মেলায় আড্ডা চোখে পড়ে। লেখকে লেখকে আড্ডা, লেখক-পাঠকে আড্ডা, প্রকাশক-লেখক এবং বই প্রেমীদের আড্ডা, নারীতে নারীতে আড্ডা, পুরুষে পুরুষে আড্ডা, এরকম বহু রকমের আড্ডা দেখা যায় বই মেলায়। আড্ডাকে প্রাণবন্ত করার জন্য কখনো কখনো খাবারের ব্যবস্থাও থাকে।
আইসা গেছে ‘সেই কবি’
আবদুল হাই চৌধুরী। মানিকগঞ্জ থেকে প্রতিবারই মেলায় আসেন এবং নিজেকে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের চেয়েও নিজেকে বড় কবি বলে দাবি করেন। কিন্তু তার লেখা সেকেলেধর্মী এবং অগোছালো। এবার মেলায় এক আড্ডায় হঠাৎই ক’জনকে বলতে শোনা গেছেÑ আইসা গেছে ‘সেই কবি’। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল তার মত দেখতে একজনকে দেখে আড্ডা থেকে ঐকথা বলা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছে বেচারা সুস্থ আছে তো? প্রতিবার বই মেলায় তার আগমন নিয়ে এক শ্রেণীর রসিক পাঠক বেশ পুলকিত হন।
চৌধুরী জীবন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।