Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৃথিবীর অনুরূপ সাত গ্রহের সন্ধান

| প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সৌরজগতের নিকটবর্তী একটি নক্ষত্রকে ঘিরে ঘূর্ণায়মান অন্তত সাতটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। যেগুলো দেখতে অনেকটাই পৃথিবীর মতো। গত বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয় বিজ্ঞানীদের নতুন এই আবিষ্কার। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে নাসার সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনেও এই বিষয়ে জানানো হয়। নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহগুলো পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ (২৩৫ ট্রিলিয়ন মাইল) দূরের একটি নক্ষত্রকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে। অত্যন্ত শীতল ও অপেক্ষাকৃত ছোট আকৃতির ওই নক্ষত্রের নাম দেওয়া হয়েছে টিআরএপিপিআইএসটি-১। গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া বেলজিয়ামের লিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ মাইকেল গালোন বলেন, এই প্রথম একই নক্ষত্র ঘিরে এ ধরনের এতগুলো গ্রহ পাওয়া গেছে। নাসা তাদের স্পিৎজার স্পেস টেলিস্কোপ ও ভূমিতে বসানো টেলিস্কোপের সাহায্যে এই গ্রহগুলোর সন্ধান পেয়েছে। এ ঘটনাকে বিরল হিসেবে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এসব গ্রহ পৃথিবীর আকৃতির এবং এগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে। তার অর্থ গ্রহগুলোর আবহাওয়া প্রাণের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। এর মধ্যে তিনটি গ্রহে (টিআরএপিপিআইএসটি-১ ই, এফ ও জি) সম্ভাবনা বেশি। কেননা এগুলোতে তরল পানি কিংবা মহাসাগর থাকতে পারে। তারা বলছেন, গ্রহগুলো শক্ত গঠনের। তবে এগুলো বৃহস্পতি গ্রহের মতো গ্যাসীয় নয়, বরং শিলা দ্বারা গঠিত হতে পারে। এর মধ্যে টিআরএপিপিআইএসটি-১এফ প্রাণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। কেননা এই গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা শীতল। খবরে বলা হয়, পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্রটিকে ঘিরে গ্রহগুলোর সন্ধানকে বিরল হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, গ্রহগুলো পৃথিবীর আকৃতির এবং সেগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে, এর আবহাওয়া হতে পারে প্রাণের জন্য উপযুক্ত। গবেষণায় নেতৃত্ব দওয়া বেলজিয়ামের লিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ মাইকেল গালোন বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো একই নক্ষত্র ঘিরে এ ধরনের এতগুলো গ্রহ পাওয়া গেছে। বাসযোগ্য এলাকা বলতে কোনো নক্ষত্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান গ্রহগুলোর অবস্থানের এমন একটি এলাকা বোঝানো হয়, যে অবস্থানে থাকলে ওই গ্রহ বা গ্রহদের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা থাকে। আর তরল পানি থাকলে প্রাণ থাকারও জোরালো সম্ভাবনা থাকে। গবেষকদের বিশ্বাস, টিআরএপিপিআইএসটি-১এফ প্রাণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এটা পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা শীতল। তবেসঠিক এটমোসফিয়ার ও পর্যাপ্ত গ্রিনহাউজ গ্যাসসহ এটা প্রাণের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আমাউরি ট্রিউড বলেন, আমি মনে করি, আর কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ এগিয়েছি। আমি মনে করি এর আগে কখনও আমাদের এমন কোনো গ্রহ আবিষ্কারের ছিল না যেখানে প্রাণ আছে কি না তা খুঁজে দেখার মতো। এখানে যদি কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকে এবং গ্যাস নিঃসরণ করে, যেমনটি আমরা পৃথিবীতে করি, তাহলে আমরা তা জানব। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ