Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে কেউ জেতেনি

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী ও ঢাকা মোহামেডানের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। দুই ম্যাচ শেষে স্বাগতিক আবাহনীর সংগ্রহ চার পয়েন্ট হলেও মোহামেডানের এই প্রথম পয়েন্ট অর্জন। এই ম্যাচেই নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানেন চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার আরমান আজিজ। যিনি দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ঢাকা মোহামেডান, ঢাকা আবাহনী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
এদিকে দিনের প্রথম ম্যাচে নেপালের মানাং মার্সায়েন্দিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছে আফগানস্তানের দল শাহীন আসমায়ে এফসি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ম্যাচে জয়ের নায়ক ছিল আফগান দলপতি আমিরুদ্দীন। তিনি হ্যাট্টিক করে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টের এবারের আসরে এটি প্রথম হ্যাট্টিক। পরাজিত দলের বিমল একটি গোল পরিশোধ করেন।
এই জয়ের ফলে এই টুর্নামেন্টের বি গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে উঠার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখল আফগানরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর ৩-১ গোলে হেরেছিল আফগান ক্লাব দল। এখন শেষ ম্যাচে ঢাকা মোহামেডানকে হারাতে পারলে সেফির স্বপ্ন পূর্ণ হবে তাদের। এদিকে, গতকাল হেরেও এখনো সেমিফাইনালে উঠার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি নেপালি ক্লাব দলটিরও। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা মোহামেডানের সঙ্গে ২-০ গোলে জিতে ছিল তারা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে জিততে পারলে সেমিফাইনালে উঠে যাওয়ার সুযোগ থাকছে তাদেরও।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল নেপালের মানাং মার্সায়েন্দি ক্লাব দল। মিডফিল্ডার বিশাল পেনাল্টি বক্সের সামনে বল পেয়েও গোলমুখে শট নিতে পারেননি। পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে যায় আফগানিস্তানের শাহীন আসমায়ে এফসি। ডিফেন্ডার আমানুল্লাহ’র গোলমুখে চমৎকার হেড সরাসরি নেপালি গোলকিপার দিনেশের হাতে চলে যায়। দু’মিনিট পর আবারও আক্রমণে যায় আফগানরা। এ সময় নেপালি ডিফেন্ডার আদামা ও গোলকিপার দিনেশের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগে বল পেয়ে গোলমুখে জোরালো শট নেন আফগান ফরোয়ার্ড ফয়েজ। কিন্তু জটলায় এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল ফিরে আসে। ফিরতি বলে আফগানিস্তান ক্লাব দলের অধিনায়ক ফরোয়ার্ড আমিরুদ্দীন গোলমুখে শট নেন। আবারো এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হলে নেপালিরা নিশ্চিত গোল হজম থেকে রক্ষা পায়। তবে আফগানদের বেশিক্ষণ গোল বঞ্চিত রাখতে পারেনি নেপালিরা। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে বামপ্রান্ত দিয়ে এগিয়ে গিয়ে মিডফিল্ডার আনোয়ার ক্রস করেন। চমৎকার হেডে দলকে এগিয়ে নেন আফগান ক্লাব দলের অধিনায়ক আমিরুদ্দীন ১-০। মিনিট তিনেক পর গোল পরিশোধের দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল নেপালিরা। কিন্তু দুর্ভাগ্য। মিডফিল্ডার বিশালের ক্রসে গোলমুখে যে হেড করেন মিডফিল্ডার সুজল তা ক্রসবারের কোনায় লেগে ফিরে আসে। এ কারণে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয় তাদের।
বিরতির পর আরো জ্বলে উঠে আফগান ফুটবলাররা। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে চমৎকার শটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আফগান অধিনায়ক আমিরুদ্দীন ২-০। এরপর গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে নেপলি ফুটবলাররা। ম্যাচের ৭১ মিনিটে একটি গোল পরিশোধও করে তারা। মিডফিল্ডার সুজল কর্নার কিক নেন। বদলি ডিফেন্ডার বিমল হেড করে বল জালে জড়ান ২-১। এর পাঁচ মিনিট পর ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে যায় আফগানরা। মিডফিল্ডার ফারদিন ডানপ্রান্ত থেকে ক্রস করেন। পেনাল্টি বক্সে দাঁড়ানো নেপালি ডিফেন্ডার আদামার হাতে বল লেগে যায়। পেনাল্টি নির্দেশ দেন রেফারি। ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের হ্যাট্টিক পূর্ণ করার পাশাপাশি দলের জয় সুনিশ্চিত করেন আফগান ক্লাব দলের অধিনায়ক আমিরুদ্দীন ৩-১। ম্যাচের বাকি সময় দু’দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে গেলেও কেউ গোলের দেখা পায়নি। ফলে হার মেনে নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় নেপালি ক্লাব দলকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ