নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : রোলবল বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ-ইরান ম্যাচে, ইরান দলের ভারতীয় কোচ সুনীল ধাগে ইরানি প্রধান কোচ কাম খেলোয়াড় মোহাম্মদ রেজা শেখ জাফরিকে মেরে সবাইকে হতবাক করে দেন। অবশ্য এ ঘটনায় ম্যাচ শেষে জাতির কাছে করজোড় ক্ষমা চান বাংলাদেশের কোচ সুনীল।
ম্যাচে স্বাগতিকরা যখন ২-১১ গোলে পিছিয়ে তখনই ঘটনার সূত্রপাত। এসময় পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। যা থেকে গোল করে উল্লাসে মেতে ওঠেন বাংলাদেশের খেলোয়াড় হৃদয়। এক পর্যায়ে তিনি ইরানি গোলরক্ষকের দিকে মাঝের আঙুল উঁচিয়ে বাজে অঙ্গভঙ্গি করেন। বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি ইরানের খেলোয়াড় মোহাম্মদ রেজা শেখ জাফরি। তিনি ধেয়ে এসে কনুইয়ের গুঁতোয় ফেলে দেন হৃদয়কে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন শেখ জাফরিকে। কিন্তু বাংলাদেশের কোচ সুনীল ধাগে উত্তেজিত হয়ে ধেয়ে যান জাফরির দিকে। শুরু করেন তর্ক। তর্কের একপর্যায়ে সুনীল চড় বসিয়ে দেন জাফরির গালে। ইরানের কোচ কাম খেলোয়াড় এভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার মিরপুর শহীদ সোহরাওর্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে উপস্থিত সবাই হতবাক হন। পুলিশ এসে সুনীলকে কোর্টের বাইরে নিয়ে গেলেও স্টেডিয়ামে তখন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ও নিন্দার ঝড় ওঠে। কিছুক্ষণ পর অবশ্য আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসে জাতির কাছে করজোড় ক্ষমা চান বাংলাদেশের কোচ সুনীল ধাগে। তিনি বলেন,‘সত্যি বলতে কি ওই মুহূর্তে আমি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিলাম। তবে ঘটনার জন্য আমি লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। এটা করা উচিত হয়নি আমার।’ দুই কোচ সংবাদ সম্মেলন কক্ষে কোলাকুলি করলেও ক্ষুব্ধ ছিলেন ইরানের কোচ কাম খেলোয়াড় শেখ জাফরি। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। হৃদয় যে কাজ করেছে, তাতে ওর লাল কার্ড পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু রেফারি হলুদ কার্ড দেখান তাকে। আমরা রেফারির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানালেও বাংলাদেশ কোচ যা করেছেন তা খুবই খারাপ হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।