মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সাবেক লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফির বিচার আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উত্তীর্ণ হয়নি বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। সংস্থাটি মনে করছে, হত্যার অভিযোগে গাদ্দাফিপুত্রকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। ২০১১ সালে গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার ছেলে লিবিয়ার একটি বিদ্রোহী দলের হাতে বন্দি। পার্বত্য এলাকা জিনতানে তাকে আটক রাখা হয়েছে। তাকে আটকে রাখা দলটির সঙ্গে ত্রিপলিতে ক্ষমতাসীন পক্ষের কর্তৃত্বের দ্ব›দ্ব চলছে। ২০১৫ সালে ত্রিপলির একটি আদালত সাইফ আল-ইসলামের অনুপস্থিতিতে তাকে মৃত্যুদন্ড দেন। লিবিয়ায় বিক্ষোভকারীদের হত্যাসহ যুদ্ধাপরাধের বিভিন্ন অভিযোগে তাকে এ সাজা দেয়া হয়। জিনতানের বিদ্রোহীরা ত্রিপলিতে ক্ষমতাসীনদের কাছে গাদ্দাফিপুত্রকে হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সাইফ আল-ইসলাম যে পালিয়ে যাবেন না, এ বিষয়ে ত্রিপলির কথা জিনতানিরা বিশ্বাস করছে না। সাইফ আল-ইসলামসহ অভিযুক্ত ৩৭ জনের বিচারের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুতর ত্রæটি, পরিবার ও আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা ছাড়াই দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্নভাবে আটকে রাখা এবং নির্যাতনের অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়।
গাদ্দাফি পুত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ এখনো যথাযথ তদন্ত হয়নি বলেও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রক্রিয়াটি ন্যায়বিচারের আন্তর্জাতিক রীতি ও মানদন্ড ছুঁতে পারেনি। কিছু ক্ষেত্রে লিবিয়ার আইনও লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রসিকিউশনের কোনো সাক্ষীকে আদালতে জবানবন্দির জন্য ডাকা হয়নি, এতে আসামিপক্ষ আদালতে উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমাণ চ্যালেঞ্জের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার জাইদ রাদ আল হুসেইন এক বিবৃতিতে বলেছেন, সুবিচারের সুযোগ নষ্ট হয়েছে। ত্রিপলির আদালত গাদ্দাফিপুত্র সাইফসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন লিবিয়ার গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান আবদুল্লাহ আল-সানুসি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী আল-বাগদাদি আল-মাহমুদি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়া সরকার (সাইফ) গাদ্দাফির গ্রেফতার অথবা আত্মসমর্পণ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি জিনতানে আছেন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিবিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছেন। লিবিয়ার আদালত এখন সাইফ ও অন্যান্য অভিযুক্তের বিচার প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করবেন। তবে মামলার সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণাদি আদালতের বিবেচ্য নয়। বিষয়টি উল্লেখ করে জাতিসংঘ বলেছে, এ ধরনের পর্যালোচনা আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উত্তরণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ আপিলের সমকক্ষ নয়। জাতিসংঘ লিবিয়া কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সাইফের আত্মসমর্পণ নিশ্চিত করতে বলেছে। একই সঙ্গে সংস্থাটি লিবিয়ার আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারগুলোও সমুন্নত রাখতে বলেছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।