Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেইজিং বরাবরই আন্তর্জাতিক আইন মেনে সমুদ্রসীমায় অবাধ নৌ চালনার পক্ষে

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী টহলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। ট্রাম্প প্রশাসনের এ উদ্যোগকে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে চীন। খবর রয়টার্স। গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, বেইজিং বরাবরই আন্তর্জাতিক আইন মেনে সমুদ্রসীমায় অবাধ নৌ চালনার পক্ষে। কিন্তু আমরা প্রতিনিয়তই একটি দেশের কাছ থেকে এ বিষয়ে হুমকির মুখে রয়েছি। আশা করি দেশটি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিঘœ ঘটায় এমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকবে। সংশ্লিষ্ট জলসীমায় মার্কিন রণতরীর টহল শুরুর পরে এটাই চীনা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রথম আনুষ্ঠানিক বক্তব্য। এর আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পক্ষ থেকেও এ ইস্যুতে উদ্বেগ জানানো হয়। সমালোচনা করা হয়েছে দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে নেয়া সামরিক পদক্ষেপের। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন এখন দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান করছে। গত শনিবার রণতরীটি দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ জলসীমায় প্রবেশ করে। এতে ভাইস এডমিরাল নোরা টাইসনের নেতৃত্বে ৭ হাজার ৫০০ নাবিক আছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেয়ার পরে এ অঞ্চলে দেশটির সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধির ঘটনা এটাই প্রথম। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে মার্কিন রণতরী দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান নিয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ জলসীমার ওপর নিজেদের দাবি জানিয়ে আসছে চীন। এছাড়াও প্রতিবেশী তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও ব্রুনাই এ জলসীমার ওপর নিজ নিজ দাবি জানিয়ে আসছে। কৌশলগত সমুদ্রপথ, তেল ও গ্যাস মজুদের পাশাপাশি সমৃদ্ধ মৎস্য আহরণ উৎস থাকায় এ অঞ্চলটি দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও। চীন এ জলসীমায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির কাজ শুরু করেছে। বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ এ জলসীমায় চীনের নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব কমাতে আগ্রহী। অন্যদিকে এ ইস্যুতে মার্কিন আগ্রহ চীনের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে শি জিনপিং সরকার। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ