Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কাপাসিয়ায় নদীতে পাওয়া সেই প্রাডো গাড়ির মালিক গুম হওয়া জাপা নেতা হেফজুর

| প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কাপাসিয়া থেকে শামসুল হুদা লিটন : গাজীপুরের কাপাসিয়ার শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া সেই আলোচিত বিলাসবহুল রহস্যময় প্রাডো গাড়ির মালিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। গাড়ির মালিক গত দেড় বছর আগে গুম হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাতীয় পার্টি নেতা খন্দকার হেফজুর রহমান। গতকাল সোমবার রাতে তার স্ত্রী সালেহা বেগম ঢাকার সিআইডির সহযোগিতায় কাপাসিয়া থানায় এসে গাড়িটি সনাক্ত করেন। কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক সাংবাদিকদের এই তথ্যগুলো জানান।
জানা যায়, গুম হওয়া খন্দকার হেফজুর রহমানের স্ত্রী সালেহা বেগম জানান, গত ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে ঢাকার বাড্ডার ৬৭/৩ নম্বর বাড়ি থেকে তার নিজস্ব প্রাডো গাড়িটি নিয়ে বের হন। তখন তার সাথে দেহরক্ষী ক্যাপ্ট. শওকত, আব্দুল আউয়াল, চালক শাহ আলমকে নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে গুলশানের উদ্দেশে রওয়ানা হন। গাড়িটি গুলশান-১ এর চেক পোস্টের লিং রোডের মাথায় পৌঁছলে অপরিচিত কয়েকজন সাদা পোষাকধারী গাড়িটি রোধ করে। তারা অস্ত্রের মুখে অন্যদের নামিয়ে দিয়ে তার স্বামী হেফজুর রহমানকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। তখন থেকে স্বামীর সন্ধান এবং গাড়িটির কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ছালেহা বেগম বাদী হয়ে পর দিন ৮ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা করতে গেলে অজ্ঞাত কারণে থানা পুলিশ তখন মামলা নিতে গড়িমসি করে। নিরুপায় হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর প্রতিকার চেয়ে একটি আবেদন করেন। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর গুলশান থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করে। মামলা নং-৬৩। ওই সময় মামলাটি তদন্ত করেন এসআই মোহাম্মদ আলী হাসান। কিন্তু ওই সময় তিনি এই মামলার কোন অগ্রগতি বা রহস্য উন্মোচন করতে পারেননি।
দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর গত ১৯ জানুয়ারি কাপাসিয়া সদরের দস্যুনারায়ণপুর বাজার সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীর মাছের ঘের থেকে হারিয়ে যাওয়া গাড়িটি কাপাসিয়া থানা পুলিশ উদ্ধার করে। গাড়িতে ব্যবহৃত নাম্বার প্লেটে ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-২০২৯ লিখা ছিল। অনুসন্ধান করে এই নাম্বারটির মালিকের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। পরে কাপাসিয়া থানার এসআই মো. দুলাল মিয়া আদালতের অনুমতি নিয়ে গাড়ির চেসিস ও ইঞ্জিন নাম্বার দিয়ে বিআরটিএতে অনুসন্ধান চালায়। এতে প্রকৃত মালিক ও গাড়ির নাম্বার পাওয়া যায়। ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৫৬, রেজি. তারিখ- ২৭/১১/২০০৪। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন ঢাকার সিআইডি গুলশান উত্তর ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল কাইউম।
নিখোঁজ হেফজুর রহমানের স্ত্রী সালেহা বেগম জানান, তিনি জাতীয় পার্টি (আনোয়ার হোসেন মঞ্জু) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাইসাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন। জমি কেনা বেচার ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। তার বাড়ি কসবা উপজেলার কাইয়ূমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে। তিনি আরো বলেন, দেহরক্ষী, গাড়ি চালক ও গাড়ি পাওয়া গেলেও এখনও সন্ধান মিলেনি আমার স্বামীর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ