Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুঁজিবাজার এগুচ্ছেই বাংলাদেশের সূচক ভারত পাকিস্তানেরও আগে

| প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ৯ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৮৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১২৮তম এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ২৮তম। এ বছরের সূচকে বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানকেও অতিক্রম করে ৫৫ পয়েন্ট অর্জন করেছে, যা গত বছরের চেয়ে ১.৭ পয়েন্ট বেশি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৭তম। বৈশ্বিক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যৌথভাবে আমেরিকান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হেরিটেজ ফাউন্ডেশন এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে অর্থনীতিতে অনেক এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের অবস্থান ১৪৩তম, পাকিস্তান ১৪১তম।
প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে প্রবৃদ্ধিকে মূল কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও এ উন্নতির নেপথ্যে রয়েছে গত এক দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুর্দান্ত গতি, যা দারিদ্র্য মুক্তিতে বড় ভ‚মিকা রেখেছে।
পাশাপাশি অর্থনীতির ভবিষ্যৎ বাণী নিয়ে স¤প্রতি প্রকাশিত ‘দ্য লং ভিউ : হাউ উইল দ্য গেøাবাল ইকোনমিক অর্ডার চেঞ্জ বাই ২০৫০’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনেক শক্তিশালী অবস্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়াকে ২০৫০ সালের মধ্যেই ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। আর এ সকল বিষয় নতুন করে আরো বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করেছে। যার প্রভাবে আমাদের পুঁজিবাজারও সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, দেশে এখন বিনিয়োগের হাওয়া বইছে। যার ছোঁয়া পুঁজিবাজারের ওপর পড়ছে। আর আমাদের বাজারে মৌল ভিত্তি হিসেবে ব্যাংকের শেয়ারকে বিবেচনা করা হয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন করে অভিজ্ঞ ও বিদিশি বিনিয়োগকারীরা এ খাতের প্রতি ঝুঁঁকছেন। পাশাপাশি ডিভিডেন্ডের সময় ঘনিয়ে আসার কারণেও এ খাতের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। ফলে আজকের বাজারে ব্যাংক খাতের একক আধিপত্য বিরাজ করছে। তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় মার্কেটে যে স্থিতিশীলতার হাওয়া বইছে তা বিদ্যমান থাকলে অচিরেই এ দেশের পুঁজিবাজার পাশ্ববর্তী দেশেগুলোর তুলনায় একটি শক্তিশালী বাজারে পরিণত হবে বলেও ধারণা করছেন তারা।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানে শেষ হয় লেনদেন। এদিন শুরুতে উত্থান থাকলেও প্রথম ঘণ্টা বাজার কিছুটা নিম্নমুখী হয় এবং দেড় ঘণ্টা পর ক্রয় চাপে রকেট গতিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। এ সময়ে অর্থাৎ (১২টা-সাড়ে ১২টা) পর্যন্ত সূচকে অত্যধিক ঘটলেও পরে তা কিছুটা হ্রায় পায়। গতকালের বাজারে অন্যান্য খাতে রেড সিগন্যাল থাকলেও ব্যাংক খাতের একক আধিপত্যে প্রায় ৩৩ পয়েন্ট। গতকাল সূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেন করা অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। তবে টাকার অঙ্কে লেনদেন হয়েছে প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
গতকাল দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২১ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৬০৪ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এই সময় ডিএসইর বাছাই সূচক ডিএসই ৩০ আগের দিনের তুলনায় ৫ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২৫ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএসইর শরিআহ সূচক ডিএসইএস আগের দিনের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩১৩ দশমিক ২০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনশেষে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৯৭ কোটি ৯৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
গতকাল লেনদেন হওয়া মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১১৫টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৪টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৫১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর।
অথচ এর আগের কার্যদিবসে অর্থাৎ গত রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫৮৩ দশমিক ০০ পয়েন্টে অবস্থান করে। এই সময় ডিএসইর বাছাই সূচক ডিএসই ৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ২০ দশমিক ৪২ পয়েন্টে অবস্থান করে। এছাড়া ডিএসইর শরিআহ সূচক ডিএসইএস আগের দিনের তুলনায় ২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩০৮ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। দিন শেষে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৩২ কোটি ৯০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ৬৫ কোটি ৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
এদিকে গতকাল দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬৭ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৩৮৫ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬২ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৯টির, কমেছে ১২৪টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৩৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর। গতকাল সিএসইতে মোট ৬৩ কোটি ১৭ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ৬৫ কোটি ৭৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা। -ওয়েবসাইট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুঁজিবাজার

২৪ নভেম্বর, ২০২২
১০ নভেম্বর, ২০২২
১১ অক্টোবর, ২০২২
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ