মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ১৯৭৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল মুন ট্রিটি’র মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়, চাঁদ ও অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর ওপর সব দেশের অধিকার রয়েছে। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে মহাকাশে খনিজ ও জ্বালানির জন্য সব দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক অনুসন্ধানের পথ খোলা রাখা হয়েছে। আর চাঁদ ও পৃথিবীর আশপাশের মহাজাগতিক বস্তুখ-ে আরইই’র বিশাল ভা-ার শুধু মানুষের প্রযুক্তির উন্নয়ন সাধনের জন্য অপেক্ষা করে আছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনগুলো বড় ভূমিকা রাখবে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যেই বিভিন্ন দেশ মহাকাশে স্পেস স্টেশনলোকে খনিজ অনুসন্ধানের উপযুক্ত করে তোলার উদ্যোগ নেবে। উৎসুক মানুষের চোখের সামনে বিরল সব খনিজের এক অপার উৎস হয়ে দেখা দিয়েছে অসীম মহাশূন্য। মহাশূন্যে মানুষের খনিজ অভিযান হবে মূলত রেয়ার আর্থ এলিমেন্ট (আরইই) বাবিরল খনিজের খোঁজে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশই এখন শিল্পক্ষেত্রে, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স আর্ট, নিউক্লিয়ার টেকনোলজি লজার, সুপার ম্যাগনেট এবং বিভিন্ন গ্রিন অ্যানার্জি টেকনোলজি›তে ব্যাপক পরিমাণে আরইই ব্যবহার করে। এই মূল্যবান খনিজের বাজার অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করে আরইই›র প্রধান উৎপাদক চীন। কিন্তু তারাও ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ বেশ বেকায়দায় পড়েছে। তারা নিজ দেশে অনেক স্থানে স্বল্প পরিসরে আরইই খুঁজে পেয়ে উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়াও ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভিয়েতনাম, ব্রাজিল, তানজানিয়াও আরইই উৎপাদন শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন কৌশলগত কারণে তা তোলা কষ্টকর এবং তার পরিমাণও কম। এমন অবস্থায় সব দেশেরই চোখ পড়েছে আরইইর বিশাল মজুদ থাকা প্রতিবেশী উপগ্রহ চাঁদ এবং মহাকাশে ঘূর্ণায়মান বিভিন্ন মহাজাগতিক পাথরখ-ের দিকে। মহাকাশের সম্পদরাজি নিয়ে প্রথম একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি দাঁড় করিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মহাকাশে খনিজ অনুসন্ধানে প্রস্তুতির কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত কিছুদিন ধরে পৃথিবীর খুব কাছের একটি লোয়ার আর্থ অর্বিটাল-এ বেশ কয়েকটি মহাকাশ স্টেশন ঘুরে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার আইএসএস এবং চীনের শেনঝু-১০। আইএসএস স্পেস স্টেশনে ৬ জন এবং শেনঝু-১০ এর ৩ জন মানুষ মহাকাশচারী ছিল। এই দুটি অভিযানের ফলে মহাকাশে মানুষের দীর্ঘদিন অবস্থান করা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো এবং মহাকাশযান ও স্পেস স্টেশনের যন্ত্রপাতি সংযোজনের ক্ষেত্রে বিরাট অগ্রগতি অর্জন করতে সহায়তা করবে। ধারণা করা হচ্ছে, চীন ২০২০ সালের মধ্যেই ‘রোয়ার আর্থ অরবিটাল’-এ একটি স্পেস স্টেশন প্রতিষ্ঠা করবে। আগামী দশকের মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়াও বিভিন্ন ‘অরবিটাল পজিশনে’ নিজেদের ‘স্পেস স্টেশন’ বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এ ছাড়া রাশিয়ার স্পেস জায়ান্ট খ্রুনিশ্চেভ চাঁদের চারপাশে একটি ‘স্পেস স্টেশন’ বসানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এসব বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি বিভিন্ন দেশের সহযোগিতার পাশপাশি প্রতিযোগিতাও বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ‘মাল্টি স্টেজ সুপার হেভি লঞ্চিং স্টেজ’ তৈরি করতে ব্যস্ত। এসব ‘হেভি লঞ্চিং সিস্টেম’ মহাকাশযানের যন্ত্রপাতি বহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। দ্য ডিপ্লোম্যাট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।