একুশের চেতনার বাস্তবায়ন ছাড়া প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন হয় না
আবদুল আউয়াল ঠাকুর : সাধারণত একুশের কথা উঠলেই আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলি। অবশ্যই মায়ের ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনকে নিয়েই সব কিছুর সূত্রপাত। তবে এটাই
হোসেন মাহমুদ : বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে অনেকেই শহীদ হন। এ শহীদদের মধ্যে রফিক, শফিক, বরকত, জব্বার ও সালামের নাম সাধারণত শোনা যায়। বলা দরকার যে পুলিশের গুলিবর্ষণে ২১ ফেব্রুয়ারি কয়েকজন শাহাদত বরণ করেন। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে আরো কয়েকজন শহীদ হন। কিন্তু এ দু’দিনে প্রকৃতপক্ষে কতজন শহীদ হন তার সঠিক সংখ্যা কেউ-ই বলতে পারেননি। বলা সম্ভবও ছিল না। তা এ কারণে যে শহীদদের অনেকের লাশ গায়েব করে ফেলত পুলিশ।
ভাষা আন্দোলনের প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন তাঁদের বইয়ে বা লেখায় শহীদদের মৃত্যুর ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা অলি আহাদ ২১ ফেব্রুয়ারি বরকত ও সালাহউদ্দিনের শহীদ হওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এমএ ক্লাসের ছাত্র আবুল বরকত বুলেটবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। তিনি আরেকজন এমএ ক্লাসের ছাত্র সালাহউদ্দিনেরও শহীদ হওয়ার কথা বলেছেন। তাঁর ভাষ্য মতে, গুলিতে সালাহউদ্দিনের মাথার খুলি উড়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া জব্বার, শফিউর রহমান ও নাম না জানা আরো কয়েকজনের শহীদ হওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। তবে তাঁর ভাষ্যে শহীদদের মোট সংখ্যা কত তা জানা যায় না। ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি ২ জন শহীদ হওয়ার কথা বলেছেন। তাদের একজন হচ্ছেন আবদুস সালাম যাকে তিনি রিকশা চালক বলেছেন। বংশাল রোডে পুলিশের গুলিতে তিনি শহীদ হন। অপরজন হচ্ছেন হাইকোর্টের কর্মচারী সফিউর রহমান। তিনি শহীদ হন নওয়াবপুর রোডে। উল্লেখ্য, তার নাম অন্যদের লেখায় শফিকুর রহমান বলেও উল্লেখিত হয়েছে। তিনি হাইকোর্টের কাছে নিহত হন বলে তারা বলেছেন।
ভাষা আন্দোলনের প্রত্যক্ষদর্শী ও সে সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র প্রথিতযশা লেখক-গবেষক আহমদ রফিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, একুশ তারিখে মেডিকেল কলেজের ব্যারাকের বারান্দায় আবুল বরকত গুলিবিদ্ধ হন। তার উরুতে গুলি লেগেছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আরো তিনজনের গুলি লাগার (নিহত) কথাও তিনি জানান। তাঁরা হচ্ছেন রফিক উদ্দীন, জব্বার ও এক নাম না জানা কিশোর। তাঁর ভাষায়ঃ ‘রফিকের কপালে গুলি লেগে মগজ বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু ঘটে।’ পর দিন ২২ ফেব্রুয়ারিও পুলিশ গুলি চালায়। তিনি বলেছেনঃ ‘২২ তারিখেই বেশী গুলি বর্ষিত হয় এই দিনে মৃত্যুর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশী।’ তিনি জানান যে এ দিন হাইকোর্ট ও নবাবপুর স্টুডিও এইচ, খোশমহল সিনেমা হল প্রভৃতি স্থানে গুলি বর্ষিত হয়। তবে নিহতের মধ্যে তিনি শুধু একজন অর্থাৎ সফিকুর রহমানের নাম উল্লেখ করেন। আহমদ রফিক ভাষা শহীদ রফিকউদ্দিনের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন, তিনি মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের ছাত্র এবং কমার্শিয়াল প্রেসের মালিকের ছেলে ছিলেন। পরে তিনি ‘একুশের ইতিহাস ঃ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস’ নামক এক প্রবন্ধে আবদুল জব্বারকে গফরগাঁয়ের কৃষক যুবা বলে উল্লেখ করেছেন। এ প্রবন্ধে ২২ ফেব্রুয়ারি সফিউর রহমান, রিকশা চালক আবদুল আউয়াল ও কিশোর অলিউল্লাহর শহীদ হওয়ার কথা বলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, কেউ কেউ শেষোক্তজনকে অহিউল্লাহ, তার বয়স ৮ বছর ও রাজমিস্ত্রির পুত্র বলেছেন।
ভাষা আন্দোলনে শহীদদের ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে এ দু’জনই সবচেয়ে বেশী তথ্য দিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, অলি আহাদের মতে ২১ ও ২২ তারিখে ৪ জন শহীদ হয়েছেনঃ বরকত, সালাহউদ্দিন, জব্বার ও সফিউর। এ সালাহউদ্দিন সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। অলি আহাদ সালাহউদ্দিনের মাথার খুলি উড়ে যাওয়ার কথা লিখেছেন। তিনি রফিক উদ্দিনের কথা উল্লেখ করেননি। আহমদ রফিক বলেছেন বরকত, রফিক উদ্দিন, জব্বার, নাম না জানা কিশোর ও সফিকুরসহ ৫ জন শহীদ হওয়ার কথা। তিনি বলেছেন, রফিকের কপালে গুলি লেগে মগজ বেরিয়ে যায়। তিনি সালাহউদ্দিনের শহীদ হওয়ার কথা বলেননি। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, অলি আহাদ বলেছেন, ‘২২ ফেব্রুয়ারি ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশর্^বর্তী এলাকায় এবং নবাবপুর রোড ও বংশাল রোডে সংগ্রামী জনতার উপর পুলিশের গুলিবর্ষণের ফলে কতজন শাহাদাৎ বরণ করেছে তা আমাদের কেউই সঠিকভাবে বলতে পারে না। অবশ্য দৈনিক আজাদ ২৩ ফেব্রুয়ারির সংখ্যায় ২২ ফেব্রুয়ারির গুলিবর্ষণে চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার খবর পরিবেশন করেছিল। নিহতের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই যে, জালেম সরকার শহীদের লাশ গুম করে ফেলতো।’
প্রথিতযশা লেখক-কলামিস্ট বদরুদ্দীন উমর ‘ভাষা আন্দোলন’ নামের একটি স্বতন্ত্র প্রবন্ধে তাঁর ‘পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ গ্রন্থের বরাতে একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদদের সংখ্যা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এই নিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় তিন।’ ২২ ফেব্রুয়ারি নিহতদের সংখ্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বংশালের মোড় ছাড়াও নবাবপুর রোডের আরো কয়েকটি স্থানে পুলিশ মিছিলের উপর বিক্ষিপ্তভাবে গুলীবর্ষণ করে। ২২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন স্থানে এভাবে গুলিবর্ষণের ফলে আট বছর বয়স্ক একটি বালকসহ পাঁচজন নিহত হয় এবং আহতদের সংখ্যা দাঁড়ায় পঞ্চাশেরও অধিক।’ তিনি এ প্রবন্ধে শহীদ বরকত ছাড়া দু’দিনে আর কোনো নিহতের নাম উল্লেখ করেননি। তাঁর উল্লেখিত আট বছর বয়স্ক বালকটি অহিউল্লাহ হওয়ার কথা।
দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ২১ ফেব্রুয়ারির ঘটনা নিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল প্রায় ৪টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বিক্ষোভরত ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলি চালনার ফলে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এমএ ক্লাসের ছাত্র মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন (২৬) ঘটনাস্থলে নিহত এবং বহুসংখ্যক ছাত্র ও পথচারী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৮টার পর আহতদের মধ্যে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল জব্বার (৩০), আবুল বরকত (২৫) ও বাদামতলী কমার্মিয়াল প্রেসের মালিকের পুত্র রফিক উদ্দীন আহমেদের মৃত্যু হয়।’ লক্ষ্যণীয়, আজাদ সম্ভবত তাৎক্ষণিক তথ্যের ভিত্তিতে শহীদ জব্বারকে ছাত্র বলে উল্লেখ করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি আজাদে ২২ ফেব্রুয়ারির ঘটনার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়। তবে সে নিহতদের নাম দেয়া হয়নি। এদিন রেল হাসপাতালের কাছে অ্যাম্বুলেন্স চাপা পড়ে এক যুবকের মৃত্যুর খবর দেয় পত্রিকা।
পরবর্তীকালে লেখিকা ফরিদা ইয়াসমিন ‘ভাষা আেেন্দালন ও নারী’ গ্রন্থে দেয়া তথ্যে জানান, ‘২১ ফেব্রুয়ারি রাতে সরকারী প্রেসনোটে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু এবং পরবর্তীতে দুই জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে। ... পরে ২১ ফেব্রুয়ারিতে আহত সরকারী শুল্ক বিভাগের পিয়ন আবদুস সালাম ৭ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।’
ড. আশরাফ সিদ্দিকী ‘আমাদের ভাষা শহীদদের কথা’ নামক একটি লেখায় দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে বলেন, শহীদ সালামের বাড়ি ছিল ফেনীতে। তিনি দশম শ্রেণি পাশ ছিলেন। তিনি কোনো কাজে ঢাকা এসেছিলেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল কলেজের সামনে গুলিতে নিহত হন। শহীদ জব্বারের বাড়ি ছিল গফরগাঁয়ে। তিনি কিছুদিন আনসার কমান্ডার ছিলেন। পরে তিনি কি করতেন তার স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন শাশুড়িকে দেখতে তিনি ঢাকা এসেছিলেন।
দেখা যায়, ভাষা আন্দোলনের প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্যদের বিবরণে নানাভাবে তথ্যের সঙ্গতির অভাব রয়েছে। যেমন সালাম। তিনি কি বেকার যুবক ছিলেন না পিয়ন? কেউ কেউ তাঁর পদবি করণিক, রেকর্ড কিপারও বলেছেন। যাহোক, উল্লেখিত তথ্যসমূহ সমন্বয় করে ভাষা আন্দোলনের রক্তঝরানো দু’দিনে মোট ৮ জনের শাহাদত বরণের নিশ্চিত তথ্য মেলে। তারা হলেনঃ বরকত, সালাহউদ্দিন, রফিক, জব্বার, সালাম, শফিক (সফিকুর বা সফিউর), অহিউল্লাহ ও আউয়াল। তাঁদের মধ্যে যেমন সালাহউদ্দিন সম্পর্কে কিছু জানা যায় না তেমনি জানা যায় না আবদুল আউয়াল সম্পর্কেও। তাঁরা ছাড়াও এক বা একাধিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত এবং আহতদের মধ্য থেকেও এক বা একাধিক জন পরে মারা গেছেন বলে জোর ধারণা। কিন্তু খুব সম্ভবত তাদের মরদেহ গুম করা হয়। তাই তাদের নাম প্রকাশ পায়নি। সরকারের পক্ষ থেকে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি নিহতদের সম্পর্কে এক বছরেরও বেশী সময় পর জনগণকে জানানো হয়েছিল। ১৯৫২ সালের ২৪ মার্চ সরকারের প্রচার বিভাগ থেকে ইংরেজি ভাষায় একটি প্রেস নোট প্রকাশ করা হয়। উক্ত প্রেস নোটের উল্লেখ অনুযায়ী ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিবর্ষণে মাত্র ৪ জন নিহত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারিতে নিহত হন ৩ জন। তাদের মধ্যে একজন মাত্র ছাত্র। তারা হলেনঃ (১) আবদুল বরকত, বয়স ২৫, ছাত্র, গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছে। (২) রফিউদ্দিন, বয়স ২৫, ছাপাখানা পরিচালনায় পিতাকে সাহায্যকারী, গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানঃ বাবুল লেন। (৩) আবদুল জব্বার, বয়স ২৫, সাধারণ দোকানদার, গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানঃ বাবুল লেন । ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ১ জন। (১) শফিকুর রহমান, বয়স ২০, ঢাকা হাইকোর্টের কর্মচারী, গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানঃ নওয়াবপুর রোড।
প্রেস নোটে আরো বলা হয়, ভুলক্রমে গোলযোগে (প্রেস নোটের ভাষা) ২২ ফেব্রুয়ারি আরো দু’জন নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে যে তারা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তারা হলেনঃ (১)ওয়াহিদ উল্লাহ, বয়স ৪০, রাজমিস্ত্রির পুত্র, দুর্ঘটনার স্থানঃ নওয়াবপুর রোড, ঢাকা। (২) আবদুল আউয়াল, বয়স ২৬, রিকশাচালক, ঘটনার স্থানঃ নবাবপুর রোড।
লক্ষ্যণীয় বিষয়, প্রেস নোটের ভাষ্যের প্রথমাংশে আবদুল আউয়ালের মৃত্যু মোটর দুর্ঘটনায় হওয়ার কথা বলা হলেও বিবরণ অংশে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় যে কর্তৃপক্ষ ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর সারাদেশে জনমনে প্রবল সরকার-বিরোধী প্রতিক্রিয়ায় দিশা হারিয়ে ফেলেছিল এবং সে অবস্থায় মিথ্যাচারসহ যুক্তিহীন বা এলোমেলো তথ্য সম্বলিত বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিল। আর সব সরকারই এ ধরনের ঘটনায় নিহতদের সংখ্যা যতটা সম্ভব কম করে দেখানোর চেষ্টা করে। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাই, ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদদের প্রকৃত সংখ্যা উক্ত প্রেস নোটে বলা হয়নি। (তথ্য ভিত্তিঃ ‘মহান একুশে সুবর্ণ জয়ন্তী গ্রন্থ’, অ্যাডর্ন, ঢাকা।)
লেখক : সাংবাদিক, অনুবাদক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।