বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : গত শনিবার অনুষ্ঠিত মনোহরদী উপজেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সংঘর্ষ সৃষ্টি ও বিনা ভোটে কমিটি গঠনের জন্য মনোহরদী পৌর মেয়র আমিনুর রশিদ সুজন ও এমপি হুমায়ূনের ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপনকে দায়ী করে তাদের বিচার চেয়েছেন সভাপতি পদপ্রার্থী তৌহিদুল আলম ও তার সমর্থক কাউন্সিলররা। তৌহিদুল আলম জানিয়েছেন, মনোহরদী পৌরসভার মেয়র ছাত্রলীগ সভাপতি আমিনুর রশিদ সুজন তাকে চেয়ার দিয়ে বাড়ি মেরেছেন। এমপি হুমায়ূনের ভাই স্বপন তাকে ঘুষি মেরেছেন। প্রতিদ্ব›দ্বী যুবলীগ নেতা তৌহিদুল আলম ও তার সমর্থকরা গতকাল রবিবার দুপুরে নরসিংদী প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের নিকট সংঘর্ষের ঘটনা বর্ণনা করেন। পাশাপাশি বিনা ভোটে, বিনা সমর্থনে ঘোষিত মনোহরদী উপজেলা যুবলীগের অগণতান্ত্রিক কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে কাউন্সিলরদের ভোটে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
যুবলীগ নেতা তৌহিদুল আলম জানান, ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনের শুরু থেকেই কাউন্সিলরদের ভোটে নতুন কমিটি গঠনের আশ্বাস দেন মনোহরদী-বেলাবর এমপি নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এমপির আশ্বাস পেয়ে সকল কাউন্সিলরসহ যুবলীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা কমিটি গঠনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে। যখন দেখা যায় যে, ২১৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে দেড় শতাধিক কাউন্সিলর আমার পক্ষে। ভোটাভুটি হলে তারা ফেল করবে। তখনই মেয়র সুজন ও এমপির ভাই স্বপন ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং মঞ্চে বসে উসকানিমূলক আচরণ শুরু করে। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবার পর দ্বিতীয় অধিবেশন শুরুর সাথে সাথে নতুন কমিটির সভাপতি পদে নাম প্রস্তাব করার জন্য ঘোষণা দেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি। এ সময় জনৈক কাউন্সিলর সভাপতি পদে এস এম ইকবালের নাম প্রস্তাব করলে বিকল্প প্রস্তাবক হিসেবে ডা: সোহেল নামে একজন কাউন্সিলর তৌহিদুল আলমের নাম প্রস্তাব করার জন্য মঞ্চের দিকে যেতে থাকেন। এসময় পৌর মেয়র সুজন ও এমপির ভাই স্বপন তাকে থাপ্পড় মেরে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়। এরপরই তারা তৌহিদুল আলমের ওপর হামলা চালায়। এ অবস্থায় উপস্থিত কাউন্সিলরদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে এমপি হুমায়ূনের পুত্র মনজুরুল মাহমুদ সাদী প্রস্তাবক ডা: সোহেলকে নাম প্রস্তাব করার সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানায়। এতে মেয়র সুজন ও চাচা স্বপন সাদীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়। এ ঘটনার পরই সম্মেলনস্থলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা মেয়র সুজনকে মঞ্চ থেকে টেনে নামিয়ে মারধর শুরু করলে এমপি নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এগিয়ে গিয়ে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় এমপি পুত্র সাদী তার পিতা এমপি নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে পুলিশ ও তার দেহরক্ষীদের সহায়তায় নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। এ ঘটনার পর তারা নিজেরাই এস এম ইকবালকে সভাপতি ও রাশেদুল আলম রাশেদকে সাধারণ সম্পাদক করে একতরফাভাবে কমিটি ঘোষণা করে। এ ঘটনায় মনোহরদী উপজেলা যুবলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা অবিলম্বে এই অগঠনতান্ত্রিক কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
সভাপতি প্রার্থী তৌহিদুল আলম জানান, এ কমিটি বাতিল না করলে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।