Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

| প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মু হা ম্ম দ   ব শি র   উ ল্লা হ : ২১ শে ফেব্রুয়ারি। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষার অধিকার আদায়ের মাস এ মাস। ভাষা আন্দোলন অর্থাৎ একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগনের গৌরবজ্জ্বল একটি দিন। এটি আমাদের কাছে ঐতিহ্যময় মাতৃভাষা দিবস। পারস্পারিক যোগাযোগ ও ভাবাবেগ প্রকাশের সবচেয়ে বড় নির্ভরতা ভাষা। আর ভাষার মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে মাতৃভাষা। ২১ শে ফেব্রুয়ারি বা ৮ই ফাল্গুন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ দিবস তথা মাতৃভাষার প্রতি সকল জাতীরই আন্তরীক ও গভীর ভালবাসা বিদ্যামান। আর এ ভালবাসা মায়ের প্রতি ভলোবাসার মতোই। আমরা মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠার জন্য যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি তা বিশ্বব্যাপি অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। তবে খুব কম জাতীর মানুষ মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। আমাদের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সূচনা সেই বায়ান্ন সালেই শুরু হয়েছিলো। এই আন্দোলনই আমাদের জাতীয় ইতিহাসে প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস হিসেবে চিহ্নিত। রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলাভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজনে আপোশহীন সংগ্রাম করেছেন আমাদের পূর্বসুরিরা। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে মাতৃভাষা করার দাবিতে পাকিস্তানি সরকারের ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিল বের করে ছাত্ররা। বুকের তাজা রক্তে প্লাবিত হয়েছে রাজপথ। আত্মহুত্তি দিতে হলো ভাষা শহীদ বরকত, সালাম, রফিক, সফিক, জব্বার প্রমুখকে। রক্তাক্ত সেই স্মৃতিময় দিনটিকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপি পালিত হয় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন শুধু আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদাকে সুপ্রতিষ্টিত করেনি বরং অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট অর্জন। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় ১৯১টি দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। পৃথিবীর ১৯৩ টি দেশের প্রায় ৬ হাজার ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার এক মহান মর্যাদা রয়েছে।
যে ভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেল ২১ শে ফেব্রুয়ারি।
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি ঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ৭টি দেশের ১০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘গড়ঃযবৎ খধহমঁধমব খড়াবৎং ড়ভ ঃযব ডড়ৎষফ’। কানাডা প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম ছিলেন এ সংগঠনের উদ্যোক্তা। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো বাংলাদেশের বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভাষার জন্য আত্মত্যাগকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষনা করে এবং প্রতিবছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০০০ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি এ বিশেষ দিবসটিকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করে।
জাতিসংঘের স্বকৃতি ঃ ইউনেস্কোর পর জাতিসংঘও ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়। পররাষ্ট্র দফতর ‘শান্তির জন্য সংস্কৃতি’ শীর্ষক একটি রেজুলেসনে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তুলে ধরে। ভারত, জাপান, সৌদি আরব, কাতার সহ বিশ্বের ১২৪টি দেশ এ রেজুলেশনটি সমর্থন করেন।
সমাপ্তিতে, এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ নিজস্ব ভাব আদান প্রদানের জন্য তার মাতৃ ভাষা পায় জন্মগত আশীর্বাদ স্বরূপ।



 

Show all comments
  • Khalid ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৪:৫৪ পিএম says : 0
    Good
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Raffan ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৫ পিএম says : 0
    চাকরির বিষয়ে আরো বেশি নিউজ দরকার।আশা করব নেক্সট থেকে আরো বেশি নিউজ পাবো চাকরির বিষয়ে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন