বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এম বেলাল উদ্দিন, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : রাউজান সদর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে পূর্বে দুর্গম সুলতান নগর নামক জায়গায় দুই-তিনশ’ জন মানুষের বসবাস সেই আদিকাল থেকে। একটি খরস্রোতা সর্তখাল ওই এলাকায় বসবাসরত কৃষিনির্ভর ওই মানুষগুলোকে অবহেলিত করে রেখেছে দীর্ঘ ৪৬ বছর। তারা শিক্ষা, চিকিৎসা, যাতায়াত, বিদ্যুৎসহ সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। জানা গেছে, উপজেলার ১ নং হলদিয়া ইউনিয়নের একটি এলাকার নাম সুলতান নগর প্রকাশ ওয়াহেদের খিল। সেটি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের অংশবিশেষ। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সুলতান নগরের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে যেতে হয় ওই এলাকায়। ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা রাউজান সদরে আসতে হলে পায়ে হেঁটে দুইবার পার হতে হয় খরস্রোতা সর্তখাল। বর্তমান মৌসুমে পায়ে হেঁটে পারাপার হওয়া গেলেও বর্ষাকালে তাদের নৌকাই একমাত্র ভরসা। একেবারেই দুর্গম ওই এলাকায় যাওয়াই কঠিন। গাড়ি যাওয়ার সে ব্যবস্থা এখনো হয়ে উঠেনি। সে ব্রিটিশ আমল থেকে সে পাহাড় বেষ্ঠিত টিলায় মানুষের বসবাস। যোগাযোগ, শিক্ষাসহ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল ওই এলাকার মানুষ। খালের পূর্বপাড়ে রাউজানের সিমান্ত, আর পশ্চিম পাড়ে ফটিকছড়ি সিমান্ত। সুলতান নগরের পূর্ব প্রান্তে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাউখালি উপজেলা, আর উত্তরে খাগড়াছড়ি জেলার ল²ীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি এলাকা অবস্থিত। মধ্যখানে রাউজানের একদম উত্তর পূর্ব প্রান্তের সহজ সরল খেটে খাওয়া এই মানুষগুলো ছিল একদম সুবিধাবঞ্চিত। সে আদিযুগে চেয়ারম্যান-মেম্বার, নেতা-নেত্রী নাম শুনত, কিন্তু এদের কাজ কি এরা এসব কিছু বুঝত না। ওদের কাজ ছিল সারাদিন পরিশ্রম করে তিন বেলা খেয়ে ঘুমানো, আবার দৈনন্দিন কাজে যোগ দেয়া, এর বাইরে তাদের আর কোনো কিছুর আগ্রহ থাকত না। তারা রাউজানের হলেও তাদের কেনাকাটা ও যোগাযোগ ফটিকছড়ির সাথেই। যাতায়াত, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ সব কিছুতেই স্বাধীনতার পর থেকে তারা অবহেলিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু তাদের এলাকার কথা কেউ চিন্তা করেনি। কিন্তু যখন রাউজানের উন্নয়নের রূপকার এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি সমগ্র রাউজানের প্রতিটি গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগিয়ে দিচ্ছেন, সে মুহূর্তে এই সুলতান নগরের অবহেলিত অনুন্নয়নের কথা ওনার দৃষ্টিতে পেলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল আর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম। তখনই এমপি সাহেব নির্দেশ দেন এই সুলতান নগর অবহেলিত থাকতে পারবে না। বিদ্যুৎ, শিক্ষা, যোগাযোগ সব কিছু এই এলাকায় হতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে সে এলাকার প্রথম চাহিদা ৪২ পরিবারের মধ্যে নতুন বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করা হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া ওই এলাকার বাসিন্দারা আনন্দে আত্মহারা। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীনে (আজাদী বাজারের লাইনে) প্রায় ৪২ পরিবারের সরকারি এই নতুন বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ,পল্লী বিদ্যুতের এজিএম বাবুল হিমেল কুমার শাহা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাবুদ্দিন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মুহাম্মদ মুনছুর আলম, সমাজসেবক লতিফ মেম্বার, স্থানীয় ইউপি সদস্য সবুজ বড়–য়া, মেম্বার মোহাম্মদ আলী, মেম্বার শাহজাহান, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ জসীম, হাছান মুরাদ রাজু, সাব্বির, বাবর, খোকন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ তৌহিদুল আলম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।