পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : চাহিদার বিচারে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি ঘাটতি রয়েছে এমন ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশের পাশাপাশি এ তালিকায় আরও রয়েছে ভারত, নাইজেরিয়া, তানজানিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা, সুদান ও মিয়ানমার। নগর এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ পেতে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম অর্থ ব্যয় হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের রেগুলেটরি ইন্ডিকেটরস ফর সাসটেইনেবল এনার্জি (আরআইএসই) শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে। ওয়াশিংটন সদর দফতর থেকে বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিদ্যুৎ ব্যবহারে ১১১ দেশের মধ্যে যৌথভাবে ৬৯তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের হিসেবে এ খাতে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৪৯ পেয়েছে বাংলাদেশ। ৯৪ পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। আর ৭০ পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় ৩৭তম অবস্থানে আছে প্রতিবেশী ভারত। একেবারে তলানিতে থাকা সোমালিয়ার পয়েন্ট মাত্র ৫ পয়েন্ট। প্রতিবেদন অনুসারে, বেশ কয়েকটি দেশ টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব পর্যায়ে উঠে আসছে। মেক্সিকো, চীন, তুরস্ক, ভারত, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা এসব দেশের মধ্যে অন্যতম। জ্বালানি খাতে ব্যাপক নীতিমালা গ্রহণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে গুরুত্ব দেয়া, জ্বালানি দক্ষতার বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ায় এসব দেশের জ্বালানি সক্ষমতা বাড়ছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দক্ষতা নিয়ে প্রথমবারের মতো এমন প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক। এতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির প্রাপ্যতা, ব্যবহারের দক্ষতা ও এ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া নীতিমালার বিষয়ে পৃথক সূচক তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি সূচকে শূন্য থেকে ৩৩ পয়েন্ট পর্যন্ত লাল রং, ৩৩ থেকে ৬৬ পয়েন্ট পর্যন্ত হলুদ রং ও ৬৭ থেকে ১০০ পয়েন্ট পর্যন্ত সবুজ রংয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সার্বিক সূচকে ৪৯ পয়েন্ট পেয়ে হলুদ তালিকায় রয়েছে। জ্বালানি প্রাপ্যতা সূচকে ৬৮ পয়েন্ট পেয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ৬৫তম অবস্থানে। এ সূচকে সবুজ রং পেয়েছে বাংলাদেশ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি সূচকে ৫৭ পয়েন্ট পেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৪তম। এ সূচকে হলুদ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। জ্বালানি দক্ষতা সূচকে তলানির দিকে রয়েছে বাংলাদেশ। এ সূচকে দেশটির অর্জন ১০০ পয়েন্টের মধ্যে মাত্র ২৩। এ সূচকে যৌথভাবে ৭৪তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সবুজ তালিকায় থাকা দেশগুলোতে টেকসই জ্বালানি নিশ্চিত করার মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ ও নীতিমালা রয়েছে। আর হলুদ তালিকায় থাকা দেশগুলোর জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর্যাপ্ত উপকরণ রয়েছে। আর লাল তালিকায় থাকা দেশগুলোর জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের উপকরণ খুবই সামান্য।
বিশ্বব্যাংকের জ্বালানি ও উত্তোলন বিভাগের প্রধান রিকার্ডো পালিতি এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, প্রতিবেদনে উঠে আসা বিষয়গুলো জ্বালানি খাতের নীতি-নির্ধারকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে। আধুনিক, সহজপ্রাপ্য ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এ প্রতিবেদন ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহর এলাকায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের সংযোগ পেতে গড়ে ২৫ দিন সময় লাগে। এতে মোট তিনটি প্রক্রিয়া পার হতে হয়। আর পল্লী অঞ্চলে ৩টি প্রক্রিয়া পার হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে সময় লাগে ১৮৫ দিন। বাংলাদেশের শহর অঞ্চলে সংযোগ পেতে মাত্র ২২ ডলার ব্যয় হয়। আফ্রিকার দেশগুলোতে এ খাতে ৫০০ ডলার পর্যন্ত ব্যয় হয় বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে ১৮৭ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে মিনি গ্রিড বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা যায়। এ খাতে সময় কম লাগে এমন ছয় দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কার মতো দেশে ছোট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে সময় লাগে দুই বছরের বেশি। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।