মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউরোপের দেশগুলোকে মাথা নত না করার আহŸান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অঙ্গসংস্থা ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লদ ইয়ুঙ্কার। ন্যাটো জোটে সদস্য দেশগুলো প্রতিরক্ষা ব্যয় না বাড়ালে সামরিক জোটটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের জবাবে এ মন্তব্য করেন ইসি প্রেসিডেন্ট। ইয়ুঙ্কার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সামরিক বরাদ্দ বাড়ানোর যে দাবি তুলেছে, তার কাছে ইউরোপের নমনীয় হওয়া কোনোভাবেই ঠিক হবে না। নিরাপত্তা কেবল সামরিক বিষয় নয়, উন্নয়ন ও মানবিক ত্রাণও এর আওতাভুক্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইয়ুঙ্কার আরো বলেন, ‘আমাদের মার্কিন বন্ধুদের নিরাপত্তার ধারণাকে সামরিক ক্ষেত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলাটা আমি পছন্দ করি না। আপনি যদি দেখেন প্রতিরক্ষায় ইউরোপ কী করছে, সেই সঙ্গে উন্নয়নে তাদের অবদান কী এবং মানবিক ত্রাণের ক্ষেত্রে তারা কী করছে তাহলেই যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের সঙ্গে ইউরোপের ব্যয়ের তুলনামূলক পার্থক্যটা বোঝা যাবে।’ নিরাপত্তার ধারণাকে শুধু সামরিক বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না করে কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে একটি আধুনিক নিরাপত্তা নীতি নেয়াটাই যুক্তিযুক্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন ইয়ুঙ্কার। ন্যাটোর খরচের ৭০ শতাংশ তহবিল জোগান দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস মিত্র দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সুরক্ষা ঠিকমতো পেতে হলে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সামরিক ব্যয় বাড়াতে হবে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সামরিক ওই জোটটিকে সেকেলে বলে মন্তব্য করেন। সেই সঙ্গে প্রতিরক্ষা জোটে ইউরোপীয় দেশগুলো সামরিক ব্যয় না বাড়ালে তাদের জন্য নিরাপত্তা সুরক্ষা কমানোর হুমকি দেন তিনি। ইউরোপীয় দেশগুলোর নিজ দেশের জিডিপির ২ শতাংশ ন্যাটো তহবিলে দেয়া উচিত বলে মনে করেন ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে ইয়ুঙ্কার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর ধরে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর তহবিল বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে। মার্কিন চাপে ব্যয় বাড়ানোর পক্ষপাতি নন তিনি। ইয়ুঙ্কার বলেন, আমি এ চাপের কাছে আমাদের (ইউরোপের) মাথা নত করার ঘোর বিরোধী। তিনি আরো জানান, জার্মানি বর্তমানে জিডিপির ১ দশমিক ২২ শতাংশ অর্থ ন্যাটো তহবিলে প্রদান করে। কিন্তু প্রতিরক্ষা ব্যয় ১ দশমিক ২২ শতাংশ থেকে বাড়িযে ২ শতাংশ করলে দেশটির আর কোনো বাজেট উদ্বৃত্ত থাকবে না। উল্লেখ্য, এরই মধ্যে মার্কিন হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে যৌথভাবে উড়োজাহাজ ও সাবমেরিন কিনতে সম্মত হয়েছে ন্যাটোভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলো। সেই সঙ্গে এলিট বাহিনীর জন্য নতুন একটি কমান্ড হেডকোয়ার্টার চালু করা হবে। রয়টার্স, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।