Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

১ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ

দেড়শ’ হজযাত্রী কোটা নির্ধারিত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রাক-নিবন্ধন

| প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শামসুল ইসলাম  : হজযাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয় বেসরকারী হজ এজেন্সিগুলোর দেড়শ’ হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করেছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বেসরকারী হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। প্রত্যেক হজ এজেন্সি দেড়শ’ হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করার পর কোটা খালি থাকলে সমন্বয়ের ভিত্তিতে পরবর্তীতে বাকি কোটা বরাদ্দ দেয়া হবে।
কোটার অভাবে যারা প্রাক-নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন না তারা ২০১৮ সালের হজে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ পাবেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবার কথা। গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাফিজ উদ্দিন ইনকিলাবকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম সচিব বলেন, প্রাক-নিবন্ধনের বিশৃঙ্খলা এড়ানো এবং সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থেই প্রত্যেক হজ এজেন্সির অনুকূলে প্রাথমিকভাবে দেড়শ’ হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি জেদ্দায় সউদী-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১শ’ ৯৮ জন হজযাত্রী হজব্রত পালনের জন্য সউদী আরবে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার বাকি ১ লাখ ১৭ হাজার ১শ’ ৯৮ জন বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। ২০১৬ সালের প্রাক-নিবন্ধিত প্রায় ৪০ হাজার হজযাত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।  ধর্ম মন্ত্রণালয় গতকাল বৈধ হজ এজেন্সি’র দ্বিতীয় পর্বের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ সব হজ এজেন্সির মালিক-প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ আজ (শুক্রবার) ও আগামীকাল (শনিবার) সম্পন্ন করা হবে। যে সব হজ এজেন্সির দেড়শ’ হজযাত্রীর অতিরিক্ত হজযাত্রী সংগ্রহ করেছে তারা চরম হতাশায় ভুগছেন। যুগ্ম সচিব হাফিজ উদ্দিন বলেন, দেড়শ’ কোটা পূর্ণ হবার পর অতিরিক্ত হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন সমহারে বন্টন করা হবে। চলতি বছরের কোটা শেষ হয়ে গেলে বঞ্চিত হজযাত্রীগণ আগামী বছর (২০১৮) সালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
ধর্মমন্ত্রী ও ধর্ম সচিবকে অভিনন্দন
বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজীকল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নাসের এজেন্সী প্রতি সর্বোচ্চ ১৫০ হজ  কোটা  বরাদ্দ করায় ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও ধর্ম সচিব মোঃ আব্দুল জলিলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, এতে করে হজ ব্যবস্থাপনায় দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীদের  দৌরাত্ম্য কমে যাবে এবং সকল হজ এজেন্ট তাদের লাইসেন্স পরিচালনা করার সুযোগ পাবেন। আলহাজ এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-নাসের বাকি হজ কোটা সমানভাবে অংশগ্রহণকারী সকল হজ এজেন্টদের মাঝে বণ্টন করে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এতে করে হজ কোটা বাণিজ্য বন্ধ, হজ কোটা ঘুষ নিয়ে বিক্রি বন্ধ হবে এবং হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হজ

২১ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ