Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে মুঠোফোন ও তথ্য-প্রযুক্তি

| প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে ৬২ শতাংশ মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ। আর এ অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে মুঠোফোন ও তথ্য-প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন টেলিনর হেলথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারা একথা বলেন। এদিন টেলিনর হেলথের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিদ রহমান, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ম্যাথিউ গিলফোর্ড এবং প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তা ফ্রেড হার্শ। শুরুর মাত্র এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দুই মিলিয়ন গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে টেলিনর হেলথের টনিক। এ নিয়ে সাজিদ রহমান বলেন, ‘প্রযুক্তনির্ভর স্বাস্থ্যসেবা দানে বাংলাদেশসহ অন্যান্য এশীয় দেশগুলোর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা অনুধাবন করে বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে টনিকের সেবা গ্রহণ করেছে। আমরা মনে করি অন্যান্য দেশেও এটা সমানভাবে জনপ্রিয় হবে।’ ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিনিয়ত টনিকের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামীণফোন গ্রাহকরা *৭৮৯# ডায়াল করে এবং স্মার্টফোনে অ্যাপের মাধ্যমে টনিকে নিবন্ধন করছে। চারটি অতি প্রয়োজনীয় ও অভিনব ফিচার নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে টনিক। ফিচারগুলো হচ্ছেÑ ক্যাশ, ডিসকাউন্ট, জীবন ও ডাক্তার। মতবিনিময়কালে জানানো হয়, যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত টনিক গ্রাহকদের ১৫শ’ স্বাস্থ্যবীমা পরিশোধ করছে, যার প্রতিটি মূল্যমান ছিলো ১ হাজার টাকা করে। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানটি ২শ’র বেশি হাসপাতাল, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে এর গ্রাহকদের ১৬ হাজারের বেশি ডিসকাউন্ট দিয়েছে।
ম্যাথিউ গিলফোর্ড জানান, ‘গ্রামীণফোন গ্রাহকরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টনিকের সেবা নিতে পারছে। শুধুমাত্র, ভয়েস কলের মাধ্যমে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের প্রতি মিনিটে ৫ টাকা করে পরিশোধ করতে হচ্ছে। আর এটা টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষেই হচ্ছে। এক্ষেত্রে, যখনই কোনো গ্রামীণফোন গ্রাহক ৭৮৯ নাম্বারে কল করে ডাক্তারের পরামর্শ চাচ্ছেন সেটা টনিকের ডাটাবেজে রোগের বিবরণ হিসেবে সংরক্ষিত হচ্ছে। পরবর্তীতে চিকিৎসা পরামর্শ দেয়ার ক্ষেত্রে এ ডাটাবেজ সহায়তা করে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নীতিমালা অনুযায়ী টনিক এসব তথ্য গোপন রাখে। এর পাশাপাশি, টনিকই সর্বপ্রথম বাংলাদেশ এর সদস্যদের জন্য ডিসকাউন্ট সেবা ও ক্যাশ অফার নিয়ে এসেছে।’   
ফ্রেড হার্শ বলেন, ‘টনিক গ্রাহকরা দেশজুড়ে ২শ’র বেশি হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্যসেবা নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাচ্ছেন। ফোনের মাধ্যমে টনিক ডাক্তার গত কয়েক মাসে এক লাখের বেশি পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ ছিলো শিশুস্বাস্থ্য সংক্রান্ত। গ্রাহকদের মানসম্পন্ন সেবাদানে টনিক ডাক্তার পুলে ৪০ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কাজ করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ