প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রায় পাঁচ দশকের অভিনয় জীবন তাঁর। মঞ্চ, টিভি নাটক, বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্র, নির্মাণ এবং সাহিত্যে- তিনি নিজেকে ছড়িয়েছেন দু’হাতে। এখনও প্রতিটি ক্ষেত্রে দর্প নিয়ে ছুটে চলেছেন সামান তালে। তিনি জীবন্ত নন্দিত নাট্যজন আবুল হায়াত। তবে অভিনয় অঙ্গনের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তাঁর একটা পথেই পা ফেলা বাকি ছিল এতদিন। সেটি হলো চলমান ট্রেন্ড মিউজিক ভিডিও। মানে অডিও গানের সঙ্গে নির্বাক চিত্রকল্পের মেলবন্ধন ঘটানো।
তার ভাষায়, ‘এটা একটা নিউ মিডিয়া। গেল ক’বছর ধরে লক্ষ্য করছি প্রচুর দৃষ্টিনন্দন মিউজিক ভিডিও হচ্ছে। গানের পাশাপাশি গল্পটাও মানুষ ভিডিওর মাধ্যমে দেখতে চায়। যদিও আমি সেটাকে তরুণ প্রজন্মের বিষয় বলেই ওভারলুক করেছি এতদিন। তবে, এবার সেই ধারণা থেকে নিজেকে বের করে এনেছি। জীবনে প্রথম কোনও গানের ভিডিওতে মডেল হিসেবে কাজ করেছি। এবং কাজটি করে আমি মুগ্ধ।’
প্রথম কোনও মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন বর্ষিয়ান এই অভিনেতা। এবং সেটি বীর বাঙালি ভাষা শহীদদের উৎসর্গ করে নির্মিত একটি কাজে। যাঁরা ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বুকের তাজা রক্তে রাঙিয়েছেন বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা করার দাবিতে।
আবুল হায়াত জানান, বাংলা ভাষা এবং ভাষা শহীদদের নিয়ে নির্মিত এই মিউজিক ভিডিওতে উঠে এসেছে আধুনিকতার নামে বর্তমান বাংলাদেশ এবং বায়ান্নর বীরত্বের কথা। যা ক্যামেরার চোখে চিত্রকল্পে তুলে এনেছেন নির্মাতা ইয়ামিন এলান। লালন লোহানির গীতরচনায় ‘বায়ান্ন’ শিরোনামের গানটির কথা এমন- ওরা ইংরেজিতে বললে কথা নিজেকে ভাবে ধন্য, আমি হাসবো না কাঁদবো... ওরে ও বায়ান্ন...। গানটিতে কণ্ঠ ও সুর দিয়েছেন নাজির মাহমুদ। সংগীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু। প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সালে ‘ইডিপাস’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথম টিভি পর্দায় অভিষেক ঘটে আবুল হায়াতের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।