Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেন কমেছে ২ শতাংশের বেশি

| প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গত শতকের ষাটের দশকের পর থেকে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমেছে দুই শতাংশের চেয়েও বেশি। শতাংশের হিসাবে এই পরিমাণকে কম মনে হলেও এতে করে সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণিকূলসহ সার্বিক সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রয়েছে সম্ভাব্য হুমকির মুখে। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন সতর্কবার্তা জানিয়েছেন সমুদ্রবিজ্ঞানীরা। গত বুধবার এ খবর জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা। ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় উঠে এসেছে, সমুদ্রের পানিতে আশঙ্কাজনক হারে অক্সিজেনের মাত্রা কমছে। ওই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ষাটের দশকের পর থেকে গত প্রায় সাড়ে পাঁচ দশকে বিভিন্ন অঞ্চলের সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমেছে। অক্সিজেনের পরিমাণে ঘাটতি থাকা এই পানিকে বলা হয় অ্যানোক্সিক ওয়াটার। ষাটের দশকের আগে সমুদ্রের যে পরিমাণ এলাকায় অ্যানোক্সিক ওয়াটারে’র দেখা মিলত, গত সাড়ে পাঁচ দশকে ওইসব এলাকার পরিমাণ বেড়ে চারগুণ হয়েছে। এছাড়া, সমুদ্রের পানিতে অত্যন্ত শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণ এই সময়ে সম্ভবত বেড়েছে বলেও জানানো হয়েছে গবেষণায়। এতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর প্রায় তিন-চতুর্থাংশই জলভাগ। আর বিশ্বের শত শত কোটি মানুষের জন্য যে পরিমাণ অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তার প্রায় অর্ধেকেরই জোগান দিয়ে থাকে সমুদ্র। ওই গবেষণা প্রসঙ্গে ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত এক মন্তব্যে ফিশারিজ অ্যান্ড ওশান কানাডার গবেষক-বিজ্ঞানী ডেনিস গিলবার্ট লিখেছেন, দুই শতাংশ শুনতে খুব বেশি মনে না-ও হতে পারে। তবে সমুদ্রের যেসব এলাকায় এরই মধ্যে অক্সিজেনের পরিমাণ কম রয়েছে সেসব এলাকার সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানে এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। গবেষণায় জানা গেছে, ডেড জোন নামে পরিচিত সমুদ্রের যেসব এলাকায় আগে থেকেই অক্সিজেনের ঘাটতি ছিল, সেসব এলাকাতেই অক্সিজেনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি কমেছে। এসব ডেড জোনে প্রতি দশ বছরে অক্সিজেনের মাত্রা কমছে ৪ শতাংশ হারে। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর, সাউদার্ন ওশান, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর এলাকাগুলো। গবেষণা বলছে, এসব এলাকায় অক্সিজেনের পরিমাণ অব্যাহতভাবে কমে যাওয়া বিশ্বব্যাপী সমুদ্রে অক্সিজেনের পরিমাণ কমের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ভূমিকা রেখেছে। গবেষকরা বলছেন, অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার জন্য বৈশ্বিক উষ্ণতা আর প্রাকৃতিক জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে কোনটা কতটা দায়ী তা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা করতে হবে। তবে আগামী দশকগুলোতে সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা আরও দ্রুতগতিতে কমে যাওয়ার সতর্র্কতা জানানো হয়েছে গবেষণায়। এই তথ্যের পর বৈশ্বিক উষ্ণতার পরিণতি সম্পর্কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গিলবার্ট। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ