নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলের প্রথম আসর চট্টগ্রামে সফলতার সাথে শেষ হয়েছিল ২০১৫ সালে। চিরচেনা এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন। এবারের আসরও বসছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। গত রোববার ঢাকায় জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন ও গ্রুপিং সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী দিনে বিকেল ৪টায় ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী মালদ্বীপ টিসি স্পোর্টস ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলবে। একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় দুই বিদেশি দল কিরগিজস্তানের এফসি আলগা, দক্ষিণ কোরিয়ার পোচেয়ন সিটিজেন ক্লাবের মোকাবেলা করবে। এছাড়া প্রতিদিন দু’টি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রত্যেক দল গ্রুপ পর্বে ৩টি করে ম্যাচ খেলবে। প্রত্যেক গ্রুপের সেরা দুই দল সেমিফাইনালে উন্নীত হবে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২ মার্চ।
টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে সংস্কার কাজ চলছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের। মাঠ থেকে শুরু করে ড্রেসিং রুম, ভিআইপি বক্স, ফ্লাড লাইট সবখানে লাগছে সংস্কারের ছোঁয়া। তবে এবারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে নিরাপত্তা বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: ইকবাল বাহার চানালেন, নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় দিতে চান না। অংশগ্রহণকারী দলগুলোসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের ভিআইপি মর্যাদায় নিরাপত্তা দেয়া হবে এবং কোনো দর্শক একমাত্র মোবাইল ছাড়া খাবার ও পানির বোতলসহ অন্যকিছু নিয়ে গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রতিটি দল মাঠে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে থাকছে পুলিশ স্কট, ‘সবমিলিয়ে আমাদের ৮০০ সদস্য পোশাক ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা থাকবেন।’ নিরাপত্তার স্বার্থে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত মুভমেন্টকে পুলিশের পক্ষে নিরুৎসাহিত করা হবে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের একসঙ্গে ঘোরাফেরাকে উৎসাহিত করবো। এতে আমাদের নিরাপত্তা দিতে সুবিধা হবে।’
ফুটবলের জৌঁলুস আগের মত নেই। তারপরও শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্যদিয়ে ফুটবলের সুদিন আবার ফিরে আসবে। প্রথম আসরে টুর্নামেন্টে এসেছিল দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলো। এবার সেটা ছাড়িয়ে আসছে কোরিয়ার দল। দ্বিতীয় আসরের দামামা বেজে উঠলেও নেই কোন তেমন প্রচারণা। শহরের কিছু কিছু জায়গায় ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা গেলেও তা চোখে পড়ার মতো নয়। টুর্নামেন্টের আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড হলেও সিজেকেএস কর্মকর্তারাই সব দেখভালও করছেন।
টুর্নামেন্ট কমিটির কো-অর্ডিনেটর ও সিজেকেএস’র অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দীন শামীম জানান, ‘চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ভেন্যুতে যেকোনো ইভেন্টের আসর বসলেই দর্শক সমাগম হয়। সুতরাং গ্যালারিতে ফুটবলপাগল দর্শক সমাগম আশানুরূপ হবে এবং জমজমাট ফুটবলের লড়াই চট্টগ্রামের দর্শকরা উপভোগ করবে। প্রথমবারের মত এবারও আমরা বেশ সাফল্যের সাথে শেষ করতে চাই।’
বিদেশি ৫টি দলের মধ্যে গতকাল নেপাল মানাং মার্সিয়াংদি চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছে। এ দলটি থাকছে হোটেল লর্ডস ইনে। এছাড়া অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলগুলো আসবে আগামীকাল। বিদেশি দলগুলোর মধ্যে কোরিয়ার পোচেয়ন সিটিজেন ক্লাব, আফগানিস্তানের শাহিন আসমায়ে, কিরগিজস্তানের এফসি আলগা, মালদ্বীপ টিসি স্পোর্টস ক্লাব উঠবে হোটেল পেনিনসুলায়। ঢাকা আবাহনী এবং মোহামেডান থাকবে হোটেল আগ্রাবাদে। স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী হালিশহরস্থ তাদের নিজস্ব ভবনে থাকবে। খেলা পরিচালনার জন্য ভুটান ও শ্রীলঙ্কার রেফারি গতকাল চট্টগ্রামে এসেছে। আজকালের মধ্যে চাইনিজ তাইপে, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম থেকে কয়েকজন রেফারি আসবে। এদের সাথে থাকছে বাংলাদেশের ৪জন। এসব রেফারিরা হোটেল সেন্টমার্টিনে থাকবেন। আগামীকাল আয়োজক কমিটি স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এছাড়া টুর্নামেন্ট কমিটি ক্লাবগুলো নিয়ে আরো একটি সংবাদ সম্মেলন করবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।