বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়িরহাটে যাত্রার নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য ও লাকী কুপনের নামে জুয়ার জমজমাট বাণিজ্য। লাকী কুপনের লটারির টিকিট কিনে সর্বশান্ত হচ্ছে বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার সাধারণ মানুষ। লটারি ও যাত্রা পালার টিকিট কিনতে অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে যাচ্ছে এলাকার লোকজন। এ অবস্থায় দুই উপজেলায়ই আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে।
এলাকায় গিয়ে জানা যায়, বেড়িরহাট আলফাডাঙ্গা সড়কের পাশে কৃষি জমিতে টিন দিয়ে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে যাত্রা প্যান্ডেল। পাশে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ যেখানে লাকী কুপনের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এলাকার সোহরাব হোসেন জানান, রাত ১২টা পর্যন্ত চলে লাকী কুপনের ড্র। এর পর থেকে শুরু হয় যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য। যেখানে ৮/১০টি মেয়ে একেরপর এক অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করে। উঠতি বয়সী ছেলে ও যুবকরা এসব নৃত্য শিল্পীদের বুকে কোমরে টাকা গুজে দেয়। এলাকার তারা মিয়া বলেন, সামনে এসএসসি পরীক্ষা আর পরীক্ষার্থীরা সন্ধ্যা হলে পড়ালেখা বন্ধ করে গভীর রাত পর্যন্ত ওই অশ্লীল নৃত্য ও জুয়া খেলা দেখে। মিজানুর রহমান জানান, অর্ধউলঙ্গ হয়ে নৃত্য করে মেয়েরা লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। মঞ্চ থেকে নেমে নৃত্য শিল্পীরা দর্শক সাড়িতে গিয়ে বেলাল্লাপনা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অপরদিকে দৈনিক স্বপ্নপুরী র্যাফেল ড্র নামে লাকী কুপন লোভনীয় পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি ভ্যান বোয়ালমারী আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে টিকিট বিক্রি করে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ২০ টাকা। ইতিমধ্যে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং আলফাডাঙ্গা নির্বাহী কর্মকর্তা লটারির ভ্যান আটকিয়ে মালিক মোস্তাক মাতুব্বরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
জেল দেওয়া হয়েছে ৪ জন টিকিট বিক্রেতাকে। কিন্তু তারপরও বন্ধ হচ্ছে না লটারি আর নৃত্যের আসর। স্বপ্নপুরী র্যাফেল ড্রর মালিক ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরের গণি মাতুব্বরের ছেলে মোস্তাক মাতুব্বর বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই স্থানীয় রঞ্জু মাতুব্বরের সহায়তায় লটারি আর যাত্রাপালা চালানো হচ্ছে। তবে ম্যানেজ হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় প্রশাসন।
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম জানান, যাত্রার অনুমতি সাপেক্ষে উল্লেখিত শর্ত লঙ্ঘন করলে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।