মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : জার্মানিতে বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিকরা ব্রেক্সিটবিরোধী বিক্ষোভ করেছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি নথি ফাঁসের পর ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া) নিয়ে নতুন করে চাপের মধ্যে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ওই নথিতে বলা হয়, ব্রেক্সিট গণভোটের পর ব্রিটিশ সরকার বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে তার প্রতিফল ভোগ করতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিকদের। এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, স¤প্রতি ইইউভুক্ত দেশের নাগরিকদের ব্রিটেনে পাওয়া সুবিধা বন্ধে তোড়জোড় শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। অথচ তিনি ইউরোপে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে বাস করা প্রায় ১২ লাখ ব্রিটিশ নাগরিকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ওই নথিতে আরো বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কাউন্সিল ও কমিশনে দেড় হাজারেরও বেশি ব্রিটিশ নাগরিক কাজ করছেন। তাদের ক্যারিয়ারেও ব্রেক্সিটের প্রভাব পড়বে। কারণ ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেবল ইইউভুক্ত দেশের নাগরিকরাই কাজ করতে পারেন। তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যেসব ইইউ নাগরিক বর্তমানে ব্রিটেনে বসবাস করছেন, তাদের অবস্থান অক্ষুণœ রাখতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। তবে ইইউভুক্ত দেশে বসবাসকারী ব্রিটিশের অবস্থান ক্ষুণœ হলে ইইউ নাগরিকদের অবস্থানও আগের মতো থাকবে না। ফাঁস হওয়া নথির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, ইউরোপে বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিকরা যেসব সুবিধা ভোগ করছেন, তা বাতিল করে একজন বিদেশি নাগরিক হিসেবে থাকা-খাওয়ার খরচ যোগাতে ইইউভুক্ত দেশগুলোর কাছে সুপারিশ করা হয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ওই নথিতে। কোনো ব্রিটিশ নাগরিককে বিয়ে করে থাকলে, বা যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করলেও ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি, বা নাগরিকত্ব পাওয়া কষ্টকর নথিতে উল্লেখ করা হয়। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিদেশে বসবাসকারী নাগরিকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে ইইউ-র সঙ্গে তারা কোনো চুক্তি করতে পারেনি। আবার তারা যুক্তরাজ্যে ফিরে আসলে বিনা খরচে বসবাসের জন্যও কোনো ব্যবস্থা করেনি। অথচ যুক্তরাজ্য থেকে ইইউভুক্ত দেশের যে নাগরিকদের ফিরে যেতে হচ্ছে, তাদের বিনা খরচে বসবাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেসব দেশের সরকারের পক্ষ থেকে। এর ফলে ২৩ জুন ব্রেক্সিট গণভোটের পর থেকে ইইউভুক্ত দেশের নাগরিকত্ব আবেদনের হার ৫০ শতাংশ বেড়েছে। গণভোটের আগের তিন মাসে আবেদন জমা পড়েছিল ৩৬ হাজার ৫৫৫টি। অথচ পরের তিন মাসে জমা পড়েছে ৫৬ হাজার ২৪টি আবেদন। দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।