পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পহেলা ফাল্গুন আজ। ফুল ফুটুক না ফুটুক, আজ বসন্ত। ফাল্গুনের হাওয়া দোল লেগেছে প্রকৃতিতে। নতুনরূপে সেজেছে ঋতুরাজ। দখিনা হাওয়া, মৌমাছিদের গুঞ্জরণ, কচি-কিশলয় আর কোকিলের কুহুতানে জেগে ওঠার দিন আজ- ‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়’। লাল আর বাসন্তী রঙে প্রকৃৃতির সঙ্গে নিজেদের সাজিয়ে আজ বসন্তের উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় ভাসবে বাঙালি। বসন্ত অনেক ফুলের বাহারে সজ্জিত হলেও গাঁদা ফুলের রংকেই এদিনে তাদের পোশাকে ধারণ করে তরুণ-তরুণীরা। খোঁপায় শোভা পায় গাঁদা ফুলের মালা। বসন্তের আনন্দযজ্ঞ থেকে বাদ যাবে না গ্রামীণ জীবনও। বসন্তকে তারা আরও নিবিড়ভাবে বরণ করে। বসন্তের বন্দনা আছে কবিতা, গান, নৃত্য আর চিত্রকলায়। সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শনেও বসন্ত ঠাঁই করে নিয়েছে তার আপন মহিমায়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে আধুনিককালের বাউল-কবির মনকেও বার বার দুলিয়েছে ঋতুরাজ বসন্ত। বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। বাঙালির নিজস্ব সার্বজনীন প্রাণের উৎসবে এ উৎসব এখন গোটা বাঙালির কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় পয়লা ফাল্গুন (আজ সোমবার) আয়োজন করা হয়েছে বসন্ত উৎসব। এদিন চারুকলা থেকে শুরু হয়ে এ উৎসব ছড়িয়ে পড়বে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চ, লক্ষ্মীবাজারের বাহাদুর শাহ্ পার্ক এবং উত্তরার ৩ নং সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চে। এটি আয়োজন করছে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্যাপন পরিষদ।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, মতিয়ারের সারেঙ্গি বাদন ও অসিত কুমার দে’র শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আজ সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হতে সকাল ১০টা এবং বিকেল ৪টা হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলাসহ একযোগে পুরোনো ঢাকার বাহাদুরশাহ পার্ক, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, উত্তরা ৩ নং সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠান হবে।
চারুকলা থেকে সকাল ও বিকেলের অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশ টিভি। রবীন্দ্র সরোবরের অনুষ্ঠানটি বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সরাসরি সম্প্রচার করবে এনটিভি। এ উৎসবে যন্ত্রসংগীত, বসন্ত কথন পর্ব, প্রীতি বন্ধনী, আবির বিনিময়, একক আবৃত্তি, দলীয় আবৃত্তি, একক সংগীত, দলীয় সংগীত, দলীয় নৃত্য, আদিবাসীদের ও শিশু-কিশোরদের বিশেষ পরিবেশনা থাকবে।
বসন্ত কথন পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, উৎসব কমিটির সহসভাপতি স্থপতি সফিউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী, সভাপতিত্ব করবেন কমিটির সহসভাপতি কাজল দেবনাথ।
উল্লেখ্য, গত ২২ বছর যাবত এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওয়াহিদুল হক এই উৎসব শুরু করেছিলেন। প্রথম দিকে উৎসবের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কবি শামসুর রাহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।