পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উন্মোচিত হচ্ছে পর্যটনে অপার সম্ভাবনার দুয়ার
কক্সবাজার অফিস : কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সৈকতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ শীঘ্রই শেষ হতে যাচ্ছে জানিয়ে আগামী এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ শেষের পথে। ২ কিলোমিটার মিসিং লিংক-এর কাজ দ্রুত শুরু হবে। সড়কটি পর্যটন বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুুপুরে কক্সবাজারের কলাতলীতে ‘লিংকরোড মোড় জাতীয় মহাসড়কের (এন-১১০) কলাতলী (ডলপিন স্কয়ার) হতে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত সড়কের সৌন্দর্য বর্ধন ও প্রশস্তকরণ কাজ’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, হোটেল শৈবাল পয়েন্ট পর্যন্ত ‘ওয়াকওয়ে’-এর কাজ নিয়ে জটিলতা কেটে গেছে। টাকার জন্য কাজ আটকে থাকবে না। সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাজ চলবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, স্রোতের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। কক্সবাজার ছোট এলাকা। এখানে তাদের থাকার মতো জায়গা নেই। কক্সবাজার শহর একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র। এখানে
দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা বিনোদনের জন্য আসেন। পর্যটন এলাকার সৌন্দর্যের বিষয়টি চিন্তা করে রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে হাতিয়ার টেঙ্গাচরে পুনর্বাসন করা হবে। সেখানে তাদের জীবন-জীবিকা এবং শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হবে-যতদিন মিয়ানমার সরকার তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে না নেয়।
তিনি আরো জানান, পর্যটনের কথা চিন্তা করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে চারলেনে রূপান্তরের কাজও শীঘ্রই শুরু করবে সরকার। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবেন। তাদের সাথে সড়কে অর্থায়নের ব্যাপারে কথা হবে। এ সময় তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত ৮০০ কিলোমিটার ‘সীমান্ত সড়ক’ নির্মাণেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ কাজে সরকার ৫০০০ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক তারেক ইকবাল, নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া, পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।